* নদীর তীক্ষ্ণ শীতল টেউয়ের মত অবিরাম
রিয়া তোমার কোমল দেহ,
লাবণ্যে সচ্ছলতা,আলোকরশ্মিতে যেন
নব চাঁদের কিরণ ঝলমল,
আমার বিবর্ণ ইচ্ছারা স্বপ্ন আলোয়
হৃদয়ের গহীনে টলমল।
হঠাৎ একটা অদ্ভুত শব্দে আগুন জ্বললো
নক্ষত্রে কিংবা ভুবনে নই,
ঠিক আমার ঠোঁটের গাঢ় বাজে!
চুম্মনে চুম্মনে সিগেরেট
ধ্বংসলীলায় তুষের আগুনে জ্বলছে
বিস্তীর্ণ বিষাদ উল্লাসে।
সদ্য নতুন এক স্বপ্নের মৃত্যু হলো বুঝি?
নিকোটিনের ধোওয়ার আসক্তে।
শ্বাস-প্রশ্বাসে অনুভবের স্পন্দন
নার্ভটা ঘনঘন ওঠছে আর নামছে
বিস্ময়ে তবু দ্বিধা নাই জানি,
আর কি আছে জীবনে মোর অবশিষ্টাংশ।
পৃথিবীর সবুজ অরন্য,বা মাঠ প্রান্তরে
ভবঘুরে রিয়া,
বারবার তোমার সম্মুখে এসেছি!
প্রেমসূধার অনন্য বিচরণ পেতে
তবু খালি হাতে ফিরেছি।
কভু আমি আবার আসিবো আশ্বিনের মাসে
ভোরের মাছরাঙা বেশে,
বাংলার তীর ঘেষে ঘন নিবীড় অন্ধকারে।
হয়তো সেদিন আমার অস্তিত্বই থাকবে না জগতে
আমার শ্লোকে তোমার ওঠোনে
কামরাঙার ফুল ঝরবে।
রিয়া অতঃপর সে ফুলে মালা করে
আমার সমাধীতে রেখে যেও প্রেম
সেই দিবসে স্বরনালী বেলায়।
....... মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)........