-যেদিন আমার যুগল চোখে তারুণ্যে ছিলো
          উথাল পাতাল প্রেম
তখন তৃষ্ণা ছিল যৌবনের রজতজয়ন্তী
  ছেয়েছিলাম আমি,পুরুষত্ব মন্বন্তরে
   কর্ণযুগল, একটি ভালবাসার মানুষ!
করুণ কার্নিশ ঘেঁষে সবুজের বনভূমি
সেদিন আমায় বসন্ত দিয়েছিল উপহার।
নির্লোভ ভ্রমনে কোকিল এলো শাখায়
উল্লাসে অবিরাম প্রেমের প্রতিমা ছিল মেয়ে!
হঠাৎ ভালবাসার আকঙ্খা জাগলো মনে
   তারপর হলো শুরু,মেয়ের প্রেমে গুরু
শুভ্রতায়, মেয়ের অট্ট হাসি, টানা টানা চোখ
যাদুর মায়াজালে আমাকে বন্দী করে রাখলো
তারপর মেয়ের রূপ সক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রে
        জ্বালিয়ে দিল,                      
আমার সাধের যত্ন করে রাখা
     বিধাতার গড়া প্রেমের আত্মাটাকে।
অবহেলার দ্রাবাদোহে সবই হয়েছে ব্যর্থ
      মেয়ের প্রেমে রক্ত ঋণে।
আমি দ্রাক্ষা বুকে মেয়ে তোমারে স্মরে
     শতাবার করি ইন্দ্রধনুসমা,
আমি জানি ভুলের মাশুলে নববধূর হৃদে
      পাবো না কোনদিন ক্ষমা।
তাতে কি করণীয় আছে আমার
   যৌবন মুহে মেয়ের দ্রোহে সর্বস্বতা
       আমার মৌন পুড়ে ছাই,
যদি ও বিধাতার লিখনে ইচ্ছা অনিচ্ছায়
     কোনদিন করতে হবে বিবাহ
তাই আতঙ্কে থেকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে
        ফের ভাবছে কবি
      তখন বউকে দিবেটা কি
শুধু কি ওষ্ঠ চুম্মনে মন ভরবে তার?


....... মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি)......