*মেয়ে তোমার নিক্ষেপিত অবহেলার তীর
  লক্ষ্যভেদ অপার করে,
  আমি শতঘ্নী আঘাতে ফের ওঠে দাঁড়ালাম!
  চৈত্রের আকাশে শূন্যতার ভরদুপুরে।
  হিমেল হাওয়া আজ পালিয়ে গেছে
  উত্তর মেরুর তপ্ত বালিচরে।
  মেয়ে তোমার উপেক্ষিত বিষাদ শিকলের ভেরি
  আমাকে আটক করে রাখতে পারেনি?
  করে শঙ্কিত পরোয়ানে জীবনদশায় বন্দী।
  বিশ্ব উদ্যানে ক্ষণপ্রভা প্রমত্ত মন
  ভালবেসে বৃথাই জীবন
  মেয়ে তপোবনে তপোধন,
  তুমি দেবী সরস্বতী নও
  নও সে সুপ্রসন্ন সংসারের লক্ষী,
  মেয়ে নিরানন্দে তুমি আনন্দ মাটি করো
  হয়ে উর্দ্ধগামী দুর্গম স্থলের অলক্ষী।
  আমি শিউরে দাঁড়ায়ে লঙ্কার সমরে
  ডুবি ডুবি যৌবন সাগরে,
  এহেন চলনে তুমি চণ্ডী কমলে কামিনী
  আর আমি অলিপুঞ্জে অন্ধ নাগরে।
  মিথ্যা সোহাগে উজ্জ্বল স্বপ্নের পাড়ে আমি
  হেটেছি তোমার রূপের বাঞ্ছনায় শতরূপ
  সৌন্দর্যে হাজার ফলক মাইল
  রেখে মন ভাণ্ডারে অফুরন্ত পরিশ্রম
  ক্লান্তিহীনায় এক স্থাপত্য গড়ে
  মেয়ে তোমাকে বিদায় জানিয়ে
  আজ মগ্নে ডুব দিলাম,কবিতার পারিজাত-বাসে?