হৃদয়ের মানচিত্রে থাকে না কাঁটাতারের বেড়া;
কবিতার মানচিত্রে পৃথিবী অখণ্ড – কবি নয় ভণ্ড কোনদিন;
পৃথিবীর মানচিত্রে শকুনের রাজপথ তুলে দেয় স্বাধীনতার দেয়াল!


কল্লোলিনী!
তোর সাথে বড় সাধ দুরন্ত দুপুর সাঁতরে কাটাবো এক বিকেল মচমচে বেলা,
সান্ধ্য-ধ্বনির মহুয়া প্রশ্রয়ে জলে জাগবে অদৃশ্য দোলা,
হেসে উঠবে কত সহস্র কবিতা নান্দনিক ভাঁজে,
চোখ বুজে পান করবো সেইসব মুগ্ধতা
পেয়ালা পেয়ালা।


প্রিয়তমা!
রবীন্দ্র মদিরায় গীতাঞ্জলির অখণ্ড পৃথিবীর অবাধ মুগ্ধতা,
বুদ্ধের বর্ণমালায়ও সার্বজনীন মহামুক্তির মানবতা,
লালনের একতারায়ও বেজে ওঠে অভেদ সুর –
মহাপৃথিবীর পদাবলি;
তবু কেন আমরা খণ্ডেখণ্ডে চলি, খণ্ড খণ্ড ভূখণ্ড আমাদের?
তবু কেন পাসপোর্ট-ভিসা-সরকার?


তোমার কাছে যাওয়া খুব দরকার।


প্রিয় কল্লোলিনী পৃথিবীর!
কতদিন মুক্ত দিগন্ত নেই পৃথিবীতে,
কতদিন মুক্ত বিহঙ্গ নেই পৃথিবীতে,
কতদিন পৃথিবীতে শুধু ভয়, পথেপথে সংশয় –
কতদিন দুঃসময়ের দেয়ালে সেঁটে আছে আমাদের স্বপ্নের সারস!