নীলাঞ্জনা, ঐ দেখ নীল আকাশ  
নারিকেলের চিকন ডগার ফাঁকে  
তোমায় দেখে অর্ধ বৃত্ত চাঁদ হাসছে,  
তারারাও সুন্দর জ্বলছে মিটি মিটি ।
নক্ষত্রের বিচ্ছুরিত অংশ ছুটছে অজানা গন্তব্যে,
যাকে দেখতে উদগ্রীব জনতা,  
ছুটতে ছুটতে হঠাৎ ক্ষয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে  
হারিয়ে যায় মৃত্তিকার উপর ।  
কখনও কখনও মাটিকেও ওরা ছোঁতে পারে না
আকাশের বুকে বিলিন হয়ে যায় বিশাল বায়ুমন্ডলে ।
রেখে যেতে পারে না শেষ সৃতি চিহ্নটুকু ।
ঐ যে দেখ তারাগুলি কেমন অকৃপন হাসি হাসছে
জগতের প্রাণীকোলে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্নিগ্ধ আলো ।
যোজন যোজন দূরে থেকেও দিচ্ছে শান্তির বার্তা
তবু শান্তি যেন পালিয়ে যায় অজানা পথে  
হাহাকার গ্রাস করে নেয় আপন স্বত্তাকে,  
সংকোচিত করে আনে জীবনের পরিধি  
জীবন চলে নিজের গতিতে নিরবধি ।
হাড়িয়ে যেতে যেতে, মানব সেবায়
কেউ কেউ রেখে যায় শুভ কর্ম ।
আকাশের তারার ন্যায়  
মানুষে মনে ওরা জ্বলে মিটি মিটি ।
কর্মের গুনে উজ্জ্বল হয়ে থাকে যুগ যুগ ধরে
মায়াভরা ক্ষণিকের এ জগৎ সংসারে ।  


২১/১১/২০১৪ ইংরেজি ।
কল্যাণপুর, ঢাকা ।