স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য চলেছে লড়াই
নিষ্ঠুর পাষণ্ড বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে  
গৃহহীন জনপদের আপ্রাণ চেষ্টা, কখন যাবে বিপদ
নিরীহ মানুষের উপর চলছে ওদের জঘন্য ব্যভিচার ।


সারি সারি মুক্তিকামী জনতাকে গুলি করে মারছে  
ওদের আকাঙ্খাকে চরিতার্থ করার জন্য ।
যৌবনের নায়ে যে আজ তুলেছে পাল
রক্ত কণিকায় বইছে তার প্রতিশোধের আগুন ।


অস্ত্রহাতে দৃপ্ত পদে বুকের তাজা রক্তে
স্বাধীনতার সূর্যকে জানাচ্ছে স্বাগতম,  
সম্মুখ যুদ্ধে আয় তোরা আয় দেখি
কাদের বুকে আছে কত দম ।


লাখ মানুষের আত্যাহুতিতে
অগনিত ললনার ইজ্জতের বিনিময়ে
তেজ্বদীপ্ত বাঙ্গালীর সাহসী লড়াইয়ে
বাংলার বুকে এল স্বাধীনতা ।


অবশেষে, বাংলার আকাশে উদিত হল
স্বাধীনতা নামের নতুন সূর্য ।  
উল্লাসে ফেটে পড়ল সমগ্র জাতি
আমরা আজ মুক্ত হয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি ।


আজ স্বাধীনতার এত বছর পর
একটা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে মনে  
আদোকি আমরা স্বাধীন ?
নিতে পারছিকি মুক্ত জীবনের স্বাদ ?


যাদের নির্মম আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা
তাদেরকে কতটুকু সম্মান দিতে পেরেছি ?
তাদের মনের ভেতরের সুপ্ত ইচ্ছাগুলি  
সোনার বাংলায় সত্যি কি সূর্যের আলোর ন্যায় উদ্ভাসিত ?


পূরণ হয়েছে কি হানাদার বাহিনিকে পরাজিত করার লক্ষ্য?  
একমাত্র স্বাধীন স্বার্বভৌম ভূ-খন্ডই কি পাইনি ?
যুদ্ধ পরবর্তী সমেয়ে আমাদের স্বার্থসিদ্ধিই
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে করেছে বিলিন ।


আমরা একাত্তোরে পেরেছি এখনও পারবো
নব যুগে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বাস্তব রূপ দিতে ।
চিরসবুজের এই বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়তে  
সোনার বাংলায় সোনালি আলো ছড়াতে ।


ইচ্ছে হোক আমাদের মূল চালিকা শক্তি  
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বন্ধ হোক কাদা ছুড়াছুড়ি উক্তি ।
বাংলার দামাল ছেলেদের বলিষ্ঠ কর্মযজ্ঞেই  
স্ব-মহীমায় প্রতিষ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ।  

আমজনতা পাবে তাদের নীতিগত অধিকার
অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাবে সবাই প্রতিকার ।
বক্ষে ধারণ করবে ন্যায় নীতির নীড়
উন্নত হবে বীর বাঙ্গালির শির ।


১১/১২/২০১৪ ইংরেজি, কল্যাণপুর, ঢাকা ।