যাবার বেলায় অভিমানী সুরে বলেছিলে
কলমের কালিতে আমাকে আর ছুঁইও না  
চাপা কষ্টে তাতে সায় দিয়েছিলাম ।
বেশ কিছু কাল অতিবাহিত হতে চলল
কলম স্থির হয়ে আছে বিচ্ছেদের জায়গায়
কালি শুকিয়ে গেছে ছোট্ট রোলের ভেতর ।
প্রযুক্তির আশীর্বা্দে কলমের ব্যবহার
লেখালিখিতে ব্যাপকতা হারিয়েছে ।  
ইচ্ছে মত লেখা যায় তার গায়ে
সে আরো আহ্বান করে বুকের জমিন দিয়ে
ইচ্ছে হচ্ছে আবার লিখি কিন্তু তোমার নিষেধ
আমায় বিমুখ করে, তোমাকে ছাড়া শব্দ আসেনা
মনের গহীনে তুমি, উপমায় তুমি,
স্মৃতির খাতায় হৃদয়ের পাতায় তুমি ।
এই দেখ লিখবনা লিখবনা করতে করতে
লেখা হয়েই গেল তোমার বারণটা
অনিচ্ছার আবরণ খুলে এমএস এর পাতায় ।
জানলে তুমি কিঞিত অভিমান করবে
হয়তো দু’ফোঁটা অশ্রু জল গড়িয়ে পড়বে ।
এতোটা কাল কি করে দূরে ছিলাম ?
হয়তো ভাববে সময় বুঝি ঘনিয়েছে
চেনা পালে নতুন করে দক্ষিণা বাতাস
কাল বৈশাখী ঝড়ের মত প্রচন্ড চাপে
ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উত্তর মেরুতে ।
পাহাড় সমান কষ্টকে বরফের নীচে চাঁপা দিয়ে
রেখে আসব হিমালয়ের চূড়ায় ।
বেশতো লেখা হয়ে গেল তোমায় নিয়ে,    
অভিমান ভুলে একটু স্বাভাবিক হও ।
কথা রাখতে পারিনি বলে ক্ষমা করে দিও, যেন,
স্বাধীনতার সুখ আস্বাদন করা যায় মুক্ত বিহঙ্গের মত ।


২৩ মাঘ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, কল্যাণপুর, ঢকা-১২০৭ ।