বলেছিলে ভালোবাসায় আগলে রাখবে
প্রতিটি মুহূর্তকে রাঙ্গিয়ে দিবে
ফুলের সতেজ পাপড়ির মত করে ।  


বলেছিলে কোন দুঃখ দেবে না
অন্ধকারে প্রদীপ শিখা জ্বালবে না  
রূপের আলো ছড়াবে কুঁড়েঘরে ।


বলেছিলে গল্প আর মিষ্টি কথায়  
দৈনন্দিন ক্লান্তিকে জানাবে বিদায়  
অবসাদকে প্রফুল্লতায় দিবে ভরে ।


বলেছিলে অফুরন্ত ভাণ্ডার হতে  
পৃথিবীর সমস্ত সুখ এনে সঁপে দিবে বাহুতে
প্রশান্তিতে পুলক জাগাবে হৃদ গহ্বরে ।  


আহ্লাদিত হয়ে সখী হারিয়েছি পথের রেখা  
চোখের সামনে মরীচিকা, নাই যে তোমার দেখা  
অকূলে ভাসালে তরী পথ যে হল ভারী
তুমি অপরূপা ছলনাময়ী রূপবতী নারী ।


লক্ষ্যে পৌঁছাতে রূপের লাগাম ছাড়ি    
বিলাসী স্বপ্ন দেখ কারি কারি ।
ঘুরছ তুমি লাটাই বিহীন ঘুড়ি
চৈতন্য ফিরে পাবে মাটিতে পড়ি ।


কায়ার অহংকার ধুলায় যাবে উড়ে
সুখ লুকাবে যেয়ে অন্যের দ্বারে ।
তোমার আকাশে থাকবে মেঘের ভেলা
একা একা বসে ভাববে, কি করে গেল বেলা ?  


মোহে মোহিত হয়ে খেলছ সর্বনাশী খেলা
তিলে তিলে অনুমিত হবে তার জ্বালা ।      
শূন্যে ছিলাম শূন্যে যাব শূন্যে হবে বসবাস
তবে কেন মিছেই কর অন্যের সর্বনাশ ?  


০৮/০৪/২০১৫ ইংরেজি, ঢাকা ।