যা কিছু আজ সে তো তোমারই অর্জিত সফলতা,  
তোমার অন্তরের আশান্বিত অনুভুতির সুপ্ত ক্ষমতা  
বিচলিত দেশবাসীর মাঝে সামান্যই ছিল বিদ্যমান  
স্বাধীনতা এনে দিয়েছ, তবু দিতে পারেনি প্রকৃত সম্মান ।  


তুমি ছিলে নিবেদিত প্রাণ বাংলা মায়ের
আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দাওনি দালাম ছেলের ।    
অসহায়ের মাথার উপরে ছিলে বট বৃক্ষ
শান্তির জন্য করেছ সংগ্রাম দাঁড়িয়ে নিরেট প্রতিপক্ষ ।    
  
সম্মুখে দেখেছ ভয়ঙ্কর বিপদ উতরে এসেছ তুমি
বুকের ভেতর এঁকেছিলে সবুজ শ্যামল মাতৃভূমি ।
সাড়ে সাত কোটি জনতার নয়ন মনি  
বাঙালী একবার মরে, তাই মাথা নত কর নি ।


সোনা রুপা হীরার খনি ছিল না এ বঙ্গে  
আত্ম প্রত্যয়ী মনোবল ছিল সবার সঙ্গে ।
হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাবে দৃপ্ত পদ ভারে
জাগতিক কর্মে জেগে থাকবে এ জগৎ সংসারে ।


বিশ্ব দেখবে অবাক বিস্ময়ে বঙ্গের কারুকাজ
একদিন নিয়ে আসবে ঘরে শ্রেষ্ঠত্বের তাজ ।
সু চিন্তার রেশ ছিল তোমার হৃদয় মাঝে
তাইতো তোমার গুণ কীর্তণ হয় সকাল সাঁঝে ।


জগতের ধন সম্পদ কেউ নিবে না সঙ্গে
মহত্বের মাহাত্ম্য বিলিয়ে দিয়েছ এ বঙ্গে ।
নেতা তুমি ছিলে মাটির মানুষ, ভাষণে ছিল রস  
তাইতো, কোটি প্রাণে আলোড়িত হয়... তোমার কর্মের যশ ।  


০১/০৮/২০১৫ ইংরেজি,
সন্ধ্যা ০৭ টা ।
কল্যাণপুর, ঢাকা ।