সীমান্তের উপাড়ে দাঁড়িয়ে
জ্বলন্ত কুন্ডলী ছুঁড়ে দিচ্ছ হাওয়ায় উড়িয়ে ।
বার বার পোড়াচ্ছ এ মাটির কায়া
তোমার হৃদয়ে পড়ছে না তার ছায়া ।  
ঐ সীমান্তে মেলে না লতা গুল্মের দেখা
শুকিয়ে গেছে ভালোবাসার রেখা ?
উষ্ণতা তোমার মনকে আর ছুঁয়না  
প্রাচুর্যে ভেতর কখনো কি ভারাক্রান্ত হয় না ?
কোন এক দিন ছিলে তুমি মোর প্রিয়া  
বিত্তের মাঝে চিত্তকে বিসর্জন দিয়ে পাল্টে নিলে খেয়া ।
ওখানে সব কিছুর মাঝেও কিছু একটার বেশ অভাব
দু’জনার মনে কভু হয় না অন্তরের ভাব  ।
পেরেছ কি ভবের হাঁটে ভাবের হাড়ি বদলাতে ?  
না, রঙ্গীন সমাজে জীবনকে বয়ে চলছ কোনমতে ?
কৌতুহলে বিস্তর প্রশ্ন জেগেছে আমার
সময় হবে না কভু এর উত্তর জানার ।
নীলাভ খামে সুফলা গ্রামে
ভরে দিচ্ছি কলমের কালি তোমার প্রেমে ।
কখনো সময় পেলে রঙ্গিন চশমার ফাকে দেখে নিও
নিঃশ্বেসিত অস্তিত্ত্বের শেকড়ে দু’ফোটা জল দিও,  
ওটাই হবে প্রাচুর্যের বিপরীতে পরম পাওয়া  
উর্বর ভালোবাসায় লাগবে সায়াহ্নের হাওয়া ।  

২৩/১১/২০১৫ ইংরেজি ।