সুদূরের পরিপাটি নীলে জ্বল জ্বল করছে সাদা মেঘ
যেন,আকাশের বুকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পলি দ্বীপের চর ।  
বিকেলের আলোয় খুলে গেছে বন্দি পাখিদের খাঁচা  
মুক্ত আকাশে মনের আনন্দে উড়ছে দল বেধে ।    


নৃত্য করছে সঙ্গিদের সাথে, হচ্ছে ঘূর্ণন বলয়ের সৃষ্টি  
সবুজ পাতার ফাঁকে, ঐ নীল সাদার কাছে যাচ্ছে দৃষ্টি ।      
নীলাকাশ দ্বীপে চকচকে সাদা বালুচর
সেথায় যদি বাধা যেত ছন পাতার ঘর !  


থাকত না কোন ভেপুর শব্দ
চলার পথে ট্রাফিক সিগন্যাল ।
ফুটপাতের উপর সাড়ি সাড়ি দোকান
রাজ পথে স্লোগানের দেয়াল ।


দূর হত ধুলা বালির রাজত্ব বিশুদ্ধ নির্যাষে    
তুষ্টতায় অন্তরে খলে যেত সুখ নির্মল হরষে ।
বিশালতার উদারতা দিয়ে নীলাকাশ  
আচ্ছাদিত রেখেছে ধরিত্রীর চারপাশ ।


অফুরন্ত সাগরের পানির ছোঁয়া লেগেছে গায়ে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেঘগুলির উজ্বলতা হারিয়ে বর্ণ হয়েছে ধূসর ।  
অস্থির যুদ্ধে হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক রূপ
ফুরিয়ে যাচ্ছে সোনালি দিনের আর একটি সুন্দর বিকেল ।


মেঘ রুদ্দুর বৃষ্টির মেলবন্ধন ওর ভাসমান বাহুডুরে  
হৃদয়ে প্রাণের স্পন্দন জাগায় শূণ্যতা দেয় ভরে ।
প্রবল ঝাপ্টায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেঘের বালু চর বিক্ষিপ্ত হয়ে  
বন্ধন ছিন্ন করে নীলেই অস্তিত্ত্ব দিচ্ছে বিলিয়ে ।


০১/১২/২০১৫ ইংরেজি ।