ও পাখি
দু’চোখ মেলে দেখ দেখি
আকাশে তারার মেলা
আজ এই সন্ধ্যা বেলা ।


উরু মন ছুটে চলে
মেঘ বালিকা দেখবে বলে
পায় না খুঁজে ঐ চরণ
আকাংখার হয় এভাবেই মরণ ।  


চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান যত
দুঃখরা এসে ভর করে তত ।
পাখির পালকের কোমলতা
ভূ-পৃষ্ঠের কষ্টের সফলতা ।


উদ্যানে কচি পাতার বাহার
প্রকৃতির ভবিষ্যতের আহার ।
জলে ভাসে লাল পদ্ম
প্রাবন্ধিকের ডায়েরী হয় গদ্য ।


হিমেল বাতাস বহে পড়ন্ত বিকেলে
প্রেম ভালোবাসা কিন্তু বড্ড সেকেলে ।
এসএমএসে হয় ভাবের প্রকাশ
এ যে আধুনিক মনের উন্মুক্ত বহিঃ প্রকাশ ।


তার হীন যন্ত্রে কর্ম স্বতন্ত্র  
কায়িক শ্রমের আলস্যে বিভ্রান্ত ।  
ডাক্তার বলে রুগী আয়
এত কম্পানির ঔষধ কোথা যায় ?
ক্লিনিকের হাল দেখলে নাজেহাল
প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলছে অনাদিকাল ।
কশাই কাটে গরু, চাপাতির মাথা বেজায় সরু
ডাক্তার কাটে পকেট ভেংচিয়ে ভ্রু ।


সরকারি অফিসে যেতে গেলে জ্বর আসে প্রাণে  
যত তারা তারি কাজ সারা জায় কেটে পর মানে মানে ।
দরপত্রের ছাড়পত্র পেতে লাগে কড়ি
অন্ধকারে ভর্তি হয় সোনার হাড়ি ।


মন তো না চায় পাড়ি দেই বঙ্গের বাড়ি
এ নিয়মের সাথে আমার বড্ড আড়ি ।
আম জনতা যেন পুতুলের মত খেলনা  
ও পাখি তুই দেখ না, পাখনা তুই মেলনা ।



২৪/০৫/২০১৬ ইংরেজি ।