তোমার স্মৃতির জানালায় ঠক ঠকিয়ে
ঐ চোখের কোনে নুনা জল হবার ইচ্ছে নেই
চকিত চাহনি মায়াবী মুখটাতে রেখাপাত করলে
অন্তরে মম সুখের সুর বাজবে পালের বিপরীতে ।  
প্রশান্তির বাতাস বয়ে যাবে কোন এক অদৃশ্য আবেগে
মৃদু বাতাস এসে বলবে কথা চুপটি করে একলা আপন ঘরে ।
জীবন পাতার অংক মিলাতে নানান সূত্রে শত চেষ্টা
যেখানে অংকের উপাত্তগুলি বিক্ষিপ্ত ভাবে সুবিন্যস্ত
মনে করতে হয় আবার কখনো ধরে নিতে হয়
উপাত্ত সঠিক ভাবে প্রতিস্তাপন না হলে অমিমাংসিত রয়ে যায়
হিসেবের জায়গায় বড় একটা শূন্যতা ভর করে উদাসী মনে ।
তিলে তিলে প্রস্তর দিয়ে তৈরি সুখের প্রাসাদ
প্রশস্ত প্রাচীর ভেদ করে আঘাত করে লুকায়িত বিষাদ ।
তোমার পালে হাওয়া দিয়েছি ভাটির দিকে যাও
আমি এখন বেয়ে যাব উজানের নাও ।
রেশম পালকে রূপের ঝলকে সতেজ যৌবনা
অন্তর আমার নিভৃতে কাঁদে আবেগের কামনা ।
যাও বেয়ে যাও রণ তরী, সঙ্গী করে রত্নের হাড়ি  
স্মৃতিকে দিয়ে বিদায় চলরে মন লগ্নের সারথি হই ।
মিছে মায়ায় এই দুনিয়ায় অযাচিত হৈ চৈ !!!  


১৭/০৫/২০১৬ ইংরেজি । ০৬: ২৬ মিনিট