জানেন মিতাদি, আমাদের ক্যারামের আসরটা
বিজয়দাকে ছাড়া জমতই না।
অথচ বিকেল তিনটে বাজলেই বিজয়দা
ব্যস্ত হয়ে ছুটতেন আপনাদের বাড়ির সামনের রাস্তার দিকে।


তিনি নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে থাকতেন আর কলেজ ইউনিফর্মে আপনি
বরাবরের মতই পাশ কাটিয়ে চলে যেতেন
না দেখার ভান করে।
হাসিখুশি মানুষটাকে আপনার সামনে খুব অসহায় লাগত।


আচ্ছা মিতাদি আপনার করুণা হত না
ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করত না কখনো?


বিজয়দার চাওটা ভীষণ সীমিত ছিল।
উনি আপনার কাছে নিষিদ্ধ স্পর্শ চাননি,
আপনাকে নিয়ে ফ্ল্যাটেও যেতে চাননি।
একমুঠো বিশুদ্ধ ভালোবাসা আর চিরজীবন
পাশে থাকার অধিকার চেয়েছিলেন।


বিজয়দাকে আপনার খুব পানসে মনে হল
আপনি ভেবে চিন্তে বেছে নিলেন আরেক জনকে।
তখন আপনি সতের কি আঠারো
তখন আপনার কাছে প্রেম মানে নিষিদ্ধতা।


পুরোটা বিকেলের প্রেম শেষে
যখন বুঝলেন বাছাইকৃত মানুষটা ভুল ছিল,
তখন আপনি নতুন সূর্যের অপেক্ষা না করে
রাত্রির হাত ধরে বেছে নিলেন নিশ্চুপ কালঘুম।


শুনেছি আপনার মৃত্যুপূর্ববর্তী দাবীর
মূল শ্লোগান ছিল,
"বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ পুরুষ হওয়া চাই"
অথচ আপনি বিজয়দার দিকে ফিরেও তাকাননি।।


দুঃখিত মিতাদি
২০/১২/১৬