আজ অন্য ধরনের রান্না করলাম,,,,,,
--------------------------------------------------------



        


বলো?


কী বলবো?


আষাঢ় মাস চিলের ডানায় ভর করে চলে গেল,,,,
শ্রাবণ টাও হামাগুড়ি দিয়ে কাঁদছে, মাটিতে পড়ে;
এই নিয়েই কিছু বলো?


কি আর বলবো ?
আষাঢ়ের ভেজা শাড়িটা এখনো শুকায় নি,
তাই ভয় লাগে শ্রাবণের বরিষণে চুল ভেজাতে।
এত দাগ!এত কষ্ট! যে আর সহে  না।


কেন? আমার তো সহে যায়।
লুকিয়ে কাঁঠালের  পিঠা পাঠিয়েছিলে,
তার গন্ধে সারাটা রাত চটপট  করেছি,
মেঘের গর্জন শুনে আবার ঘুমিয়েও পড়েছি।
কই আমার তো কষ্ট গুলো মধুরই মনে হল,
অমৃতের মত!!!


কি জানি? অমৃত তো খাই নি কোনদিন,
তবে বাড়ির কুকুরটাকে খুব ভয় হয়।
জানো চৌকাঠ পাড়ি দিতে আমার ভেতরটা
কেপে উঠে,
কতদিন ধরে রাত দুপুরে পুকুর পাড়ে বসে,
তোমার সাথে
পুকুর জলে চাঁদের গোসল দেখি না,
শুনি না অন্ধকারে গাছের পাতার আড়ালে
পাখির ঝাপটা ঝাপটি।


শুনবে আজ?  চলো তোমাকে শুনাই?
এই বাদলে আমারও ইচ্ছে করে
একটু হাত টা গরম করে নিতে তোমার আঁচলে।হিমশীতল যে হয়ে যাচ্ছি,,,।


না, না!!ছি,ছি,ছি!!!
এগুলো কী বলো  ? আমি যে রাধা হয়েছি এখন,
আমার আয়ান পতি আছে।
তুমি ভগবান হলেও তোমার সাথে আর
এক কাপ চাও ভাগ করে খাওয়া স্বম্ভব না।
তুমি ভোলে যাও সব,ভোলে যাও অতীত।
আমিও ভোলে যাচ্ছি,
আর ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি
কালই যেন ফিরে আসেন তিনি,,,
প্রবাস হতে।


কী করে আসবেন? কথা  কী হয়েছে তার সাথে?


না হয় নি।তবে ভাবছি।গতকাল আসেন নি বলে কী,
কাল আসবেন না?অবশ্যই আসবেন।
সমাজের সবার সামনে উনি
আমার সিথিতে সিঁদুর  পড়িয়েছেন।
সবার অনুমতি,সম্মতি নিয়ে
সবাইকে সাক্ষী রেখেই গলায় মালা পড়িয়েছেন।
তা তোমার মত লুকিয়ে
আমার চুলের খোপা খোলার আয়োজন নয়,
যা রাতের আধার ভিন্ন অন্য কেউ জানবে না!
তোমার আমার মনের বিনিময় নয়
যা তুমি আর আমি ভিন্ন এই বাতাসও শুনবে  না?
উনি আমার স্বামী,
সানাই বাজিয়ে,ঢাক ঢোল পিটিয়ে পাওয়া স্বামী।
উনি আসবেনই, আসবেনই রুদ্র।
আমার সাথে ব্রহ্মার শপথ মেটাতে আসবেন
আসবেনই উনি।


দেবযানী,,,আসুক উনি আমি তা চাই।
তোমার হাতের শাখায় শব্দ জাগুক,
তোমার কপালের সিঁদুর  মানচিত্র হারাক,
ঠোটের লিপস্টিক পাড় ভাংঙ্গা নদীর মত
ছড়িয়ে পড়ুক কোনদিকে,
নাকফুলে লেগে থাকুক কারো মাথার ছোট চুল,
তোমার সজ্জিত চুল হোক এলোমেলো,
আমিও যে তা চাই।
জানো তোমার হাতের কাঠাল পিঠা খেয়েছি
আর আমি এই প্রার্থনা করেছি,
কেন করেছি?  জানি না।


যাও নির্লজ্জ। পরের বঁধু  নিয়ে এসব ভাবতে তোমার কী খারাপ লাগে না?
না কি কবিদের মন এমনই, একটু সৎ একটু অসৎ? একটু পবিত্র একটু অপবিত্র?


হা হা হা।আমি ভুল বললাম নাকি?
দেখ বাইরে প্রচন্ড বাতাস আর বৃষ্টি।
দূরে একটা ল্যাম্পপোস্টের পাশেই তোমার বাড়ি।
একটু দেয়াল ঝাপ দিলেই তোমার বারান্দা,
অত:পর তোমার বিছানা ছুয়া ঘর ।
এত পাশাপাশি থেকে
একজন মনের পুরোনো স্বপ্ন হিসেবে
শুভকামনাতো করতেই পারি।
নাকি পারি না?


পার।পারবে না কেন?
তোমার কবিতাগুলো আমি পড়ি, জানো?
সারা রাত জেগে উনাকে ভাবি
আর তোমার কবিতা পড়ি।
কি অসভ্যই না তুমি,,, কবিতায়?
আচ্ছা,নিরুপমার সোহাগ রাতের মালাটিকে
সকাল বেলা এভাবে ছেড়া না দেখালে কি পারতে না?


পারতাম।অবশ্যই পারতাম।
তবে আজকের এই বাদল রাত কি থেমে যেত?
বাতাসের সাথে বাতাসের কথা কী স্তব্দ হত?
বলো এই ভয়ংকর রাতেও
রাস্তার উপর দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে
গাড়ি গুলোর আসা যাওয়া কী বন্ধ হতো?
থেমে যেত কী আমার মোবাইলটাকে
পুনঃ পুনঃ  চার্জ দেওয়ার আবেদন?


থামো থামো,আর বলতে হবে না।
পরকুলবালার সাথে কৃষ্ণ কীভাবে কথা বলেছিল,
তা জানি না,তবে তুমি তো জানো।
এভাবে বলতে নেই।
লোকে ভিন্ন কিছু বলবে।
পানির আওয়াজ বাতাস কিন্তু কান পেতে শুনে
তারপর সবাইকে শুনায়।
তাই সাবধান,,,
শয়তান,,,,।


তোমার মুখের শয়তান শব্দটা
গোপাল দার মিষ্টির ভান্ডারে দিয়ে আসব কাল।
গোপাল দার দোকান টার আকাল যাচ্ছে খুব
কপালটা খোলে যাবে তার!!!


হয়েছে আর এত  ঢং করতে হবে না,
মুখে এত চিনির কারখানা আর রেখ না।
ডায়বেটিস আছে আমার।
অনেক কিছুই মানা।
বুঝেছ? অনেক কিছুই মানা
আচ্ছা শুনো আমি ঘুমাবো।তুমি ঘুমাবে না?


ঘুম?
কাকে ভেবে ঘুমাবো?সে যে এখন আয়ানের স্ত্রী।
আমি বরং জেগে থাকি।
তুমি ঘুমাও,,,
তোমার বালিশের পাশে মোবাইল হয়ে জেগে থাকব।
এই সূযোগটা দিবে তো?


না।


কেন?


এমনি।


ছয় বছর হয়ে গেল,প্রবাস থেকে ফিরে নি সে,
এমনকি প্যারিসের রাস্তাটা
তোমাকে দেখাতেও নিয়ে যায় নি।
এত দিনে আমার উপন্যাসের নায়িকার
দু দুটি বাচ্চা হয়ে গেছে,,,,আর তুমি?


তোমার নায়িকার মরণ হোক কাল,
অলক্ষ্মীর মাথায় বাজ পড়ুক,
সাপের দংশনে মারা যাক ঘুমের মাঝেই,
লিখবে সে আত্মহত্যা করেছে।
যদি না পারো  তা,
তাহলে লিখবে সে পালিয়ে গেছে জংগলে,
নতুবা বেশ্যালয়ে।
ইচ্ছেমত তোমার নায়িকাকে নষ্টা বানাবে,
প্রতিদিন তার পায়ে একটা করে সুই বিধে দিবে,
হাতের মধ্যে এই এই শাখা পড়াবে।
কপালে সিদুরেটাকে কপাল থেকেও বড় করে দিবে,
তবু তাকে সন্তানের মা বানাইও না।
এমন নিষ্ঠুর তুমি হইও না।


কে,,  ,,,,ন?


( বাকী কথা গুলো আর পূরণ হয়নি।বজ্রাঘাতে সারা শহর বিদ্যুতবিহীন,মনে হচ্ছে অন্ধকারের নেশায় নরক এসে দাড়িয়েছে এই শহরে।যমদূতের প্রিয় অন্ধকার এর চেয়ে যে ভাল নেই যমালয়ে)
---------------------------------------------------------------
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
২৭/০৭/১৭