জগন্য আলোতে ছেয়ে যাচ্ছে চারদিক,,,
পাশের পুকুরে
এই বুঝি একটি কচি ব্যঙ ধরা পড়েছে সাপের মুখে,,,
খেলতে বলে আসা ব্যঙটির
আর দেখা হবে না তার মায়ের সাথে,,,,,,


কিন্তু সে,,,,,
সে তো আজ খেলতে আসেনি,,,,।
বাছুরের মত লাফাতেও আসেনি।
কথা ছিল বিকালে গিয়েই মিজান,রফিকদের সাথে
ওই তালপরা পুকুর পাড়ে গিয়ে ঘুড়ি উড়াবে,,,
কুল গাছের মগডালে চড়ে কাটার চোখ ফাকি দিয়ে
এত্ত এত্ত কুল পারবে,,,।
তারপর কাচা লংকা লবণ, ধনিয়াপাতা মিশিয়ে ঈশ,,,,
বানাবে এক দারুন ভর্তা!
কথা ছিল,,,মিয়া বাড়ির উঠান থেকে কাচা কচি আমের
আচার চুরি করার,,,


না চুরি করা হল না আর
বরং এক দানব যে চুরি করেছে তাকে,,।
কচি আমের মত কেটে কুচি কুচি করে দাতের আঘাতে
লবণ দিয়ে খাচ্ছে তাকে,,,
খাচ্ছে এক পিশাচ তার পইশাচিক নিয়মে,,,।
উল্লাসে উতসবে ফেটে পড়ছে দানব,,,
বীভৎস হুংকারে গর্জে উঠেছে পশু
শিকারের স্বাদে তৃপ্তি নিচ্ছে প্রতি আক্রমণে,,,।


কিন্তু সে কি এসেছিল এই হিংস্রের কাছে?
সে কি একই পুকুরে করছিল বাস সাপের সাথে?
না,,,
না,,,,,না,,,না
সে কোন পশুর কাছে কলেমা শিখতে আসেনি
মাদ্রাসাতে
সে কোন শয়তানের ঘরে আসেনি
মনুষ্যত্ব শিখতে,,,,,,
মা-ই তাকে পাঠিয়েছিল এক হুজুরের কাছে
পরপারের গান শিখতে।


বোকা মা,,,জানলই না,,,
এই পদ্ম পুকুরে সাপের মুখও পদ্মের কলির মত,
জানলই না
তার এই বালকের দেহটাও তেতুলের মত, বেশ লোভ্য,,,!
তাই বলাতকারের চমতকার দৃশ্য শিখাচ্ছে  হুজুর
বালকের দেহে বর্বরতার প্রায়োগিক ক্লাসে,,,
নিরলে নির্জনে,,,


আর আত্মচিতকারে,,,,ছেলেটি ভাঙ্গছে কলম
ছিড়ছে খাতা,,,পলাতে চাচ্ছে বারবার  পশুর দন্ত থেকে,,,
কেঁদে  কেঁদে  বলছে চিকন সুরে,,,
কচি দেহটায় লৌহ নখের আঘাত নিয়ে,,,
          কোথায় পাঠালে মাগো তুমি দেখনা আসিয়া,,,
চলে যাচ্ছি গো মা চিরতরে
এই  বাল্যদেহের লাগিয়া....
মাগো,,,,,
বাল্যদেহের লাগিয়া।


#############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১৮/১০/১৭


( গতকাল আরেকটি বালক মাদ্রাসাতে ধর্ষিত হয়েছে,,।এটি বিচ্ছিন  ঘটনা নয়।আমি এমনই একটি ছেলেকে চিনি যে পালিয়ে এসেও বাঁচতে পারেনি।তার মাতা-পিতা জোর করেই আবার হুজুরের আস্তনায় পাঠিয়েছে তাকে।পরে সে আর কভু মায়ের কাছে ফিরে যায়নি,,,।অভিমানে, দু:খে মাকে ছেড়ে চলে গেছে অনেক দূরে,,,,)