আচ্ছা যে লাল পাখিটা উড়ে আসছে চিঠি হাতে
আমার সজ্জিত পুষ্প আঙ্গিনায়,,তার পাশে কীভাবে বসা আমার  শোভা পায়?
তাকে কি ডেকে নিব কাছে?বলব কি ওগো শুনো না,,আমার কিছু কথা আছে!
যদি আমার ডাক না বুঝে? যদি বুঝেও যায় অবহেলে?
তাহলে কি জিজ্ঞেস করতে পারব আমি,,
পারব বলতে হাতের অংগুলি খানি কোন মতে সামান্য বাকা করে,,কেন আসলে এখানে?
ঠিকানা লিখা থাকলেই কি
ডানার কোন ইচ্ছে অনিচ্ছা থাকে না?নাকি রাখতে নেই!


আচ্ছা যদি বাইরে বৃষ্টি বয়,,অঝর বৃষ্টি
তাহলে কি পাখিটির জন্যে আমি,,
তোয়ালে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকব,,?
কিন্তু কোন তোয়ালে,,,কোন রঙের তোয়ালে,,
কি জানি?
পাখিদের কোন ধরনের রঙ পছন্দ,,, ইস কেমনে জানি?
বাবাকে যদি জিজ্ঞেস করতাম,,,!
কিন্তু এই পাখির যে বাবার সাথে বিরাট ব্যবধান,,
সব বাবাই পাখি হয়,,,
তবে কোন পাখিই বাবা হয় না,,!
যাই হোক আমি পাখিটার জন্যে
নুডুলস রেঁধে রাখব,,,,!
কিন্তু সে কি নুডুলস খাবে?
আমার হাতের রান্না কি তার খাবার যোগ্য হবে,,
কেন যে আরো ভালো রান্না শিখিনি! মন্দিরে দেবতার কাছে পাঠাই নি,,।দেবতায় খেলে পাখি অবশ্যই খেত,,
পাখি অবশ্যই রাঁধুনীর হাতের সাধ বুঝত
যে সাধে সাধে বুঝে নিত
তুমি খেলেই আমার অর্ধ্ব খাওয়া হয়ে যায় ঈশ্বর,


কিন্তু যদি না বুঝে সাধ খানি তাহলে কীভাবে বলব,,
আমার ভাষাগুলি যে এখনো বেশ কচি,,পাকাপোক্ত হয়নি
কচি বাঁশের ডগায় কি বক বাসা বাধে?
উড়ন্ত পাখিও কি বসে সেথায় স্থির হয়ে?
হয়ত বসে না,,,কিন্তু আমি যে চাই,,তা কি করে জানাব,,,
জানালেও যদি নদীর তরঙ্গে সব কথা স্রোতের সাথে মিশে যায়,,কিবা কচুরিপানার মত ভেসেই যায়
তাহলে আমার কাজলের আড়ালে চোখের জল
কী তার বুকের সাগর স্পর্স করবে?
যদি না করে?
তাহলে আমি কোন গাছের ছায়ায় বসে কাঁদব,,
কোন খুটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকব জলোচ্ছ্বাস মাঝে
বিজলী ভরা বাদলে কোন ছাতার নিচে দাঁড়াব,,,?
কাকে নিয়ে জোনাক রাতে হেটে যাব বনে!
যদি সে বাঘের ভয় দেখায় মনে,,,
তাহলে আয়নার সামনে কেমনে সাজব হরিনী!!
বলো বলো কেমন বুঝব তরণী
এসেছে আমার সাথেই নৌকাবিলাস খেলিতে!!
যদি আমি এ বিলাস না খেলি না ভিজাই চুল জলে,,।একটু বিড়াল ভেজা রাগ করি কিবা অভিমান সরলে!
তাহলে সে কি বুঝবে আমার হাতের লাল চুড়ির ভাষা?
সে কি জানবে আমিও বেঁচে থাকতে চাই,,,এক বালিশেই,,,।
আমিও চাই এক গাছেতেই ফুল  ফোটাবে  
এক ভ্রমরে গুন গুন করে,,,।
নাকি এ আমার বেশি চাওয়া,,,!
যে চাওয়ার অপরাধে আমাকে ভাবতে হবে
আমার হাত ঘড়িটা কি আমি আর পরতে পারব,,
নাকি ওকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে,,
ওগো শুনছ এখন কতটা বাজে?বলো না আমারে?
কতটার সময় ডাল খাবে গো,,কতটার সময় নাড়ু,,
কতটার সময় খাবে ধুঁয়া,,,? কতটার সময় পাথর খাবে,,
কতটার সময় মাটি?কতটার সময় আমি দেশি সাজব কতটায় বিদেশী।
কতটুকু আমার শীত হবে?
কতটুকু আমার গরম?
আমি কত গ্রাম চোখের জল ফেলব,,?
কত মিটার হাসি হাসব?
আমি কতটুকু মানুষ হব,,আর কতটুকু দাসী,,
পশু সম দাসী।
নাকি আমি শুধু বধু হব!!
আমার মাথায় ঘোমটা থাকবে
কপালে সিঁদুর,, গলায় মঙ্গলসূত্র,,
গায়ে এই নামীদামী বসন বাহার,,আর তার ভিতরে
এক জীবন্ত পুতুল,,,যে কভু নিজেই নয় তাহার
নাকি আমি শুধু গর্ত খোদাই নদী হব,,!
আমার উপর দিয়ে ছোট বড় নৌকা জাহাজ
সব যাবে,,শুধু কিছুই যাবে না আমার ভেসে
কেন যাবে না?আরমার এক ঘাট কভু চিনবে না
আরেক ঘাটকে?কেন চিনবে না?
আমি কি আমার পথে পথে হাটতে পারব না?
আমার গাড়ির ড্রাইবিং সিটে আমি বসত পারব না?
আমি কি ও মাগো বলে কাঁদতেও পারব না?
নাকি কাঁদার জন্যেও করতে হবে অভিনয়?
ঠাকুর ঘরে পূজো দিতে দিতে,,,
শিখতেই হবে শুধু পুজা বিদ্যা,,আত্মস্থ করতে হবে দাসত্ববিদ্যা!
যে পুজোতে গণতন্ত্র নেই,,আছে শুধু স্বৈরচারীতা?
যে বিদ্যায় বধুতন্ত্র নেই,,আছে শুধু স্বামীচারীতা!!
পাখিটি কি বুঝবে কিবা জানবে আমার এসব কথা?