বাইরে প্রচন্ড শীত,,
এর মাঝেই ঘরের ভেতর  গা ফাটা গরম,,,
যে গরমের ভাষা এত যে সহজে বুঝা যায়
তা নয় কিন্তু,,,,।
এ বুঝতে গেলেও একটি মন লাগে,,,
লাগে সুন্দর একটি  নজর।
যে নজর সবার থাকলেও,,,বুঝা যায় না,,,
বুঝা গেলেও ধরা যায় না,,,
তবে দাবী উঠলো চারদিকে,,,,
এ গরম ভুলে যাও,এ উষ্ণতা ভুলে যাও


ভুলবে কীভাবে,,,যার নদীতে এত এত মাছ,,
যার নজর জঙ্গলে এত হরিনী
সে মাছের নেশা মৃগের নেশা
ছাড়লেই তো ভুলতে পারবে
শিকারের নেশা,,,গরমের নেশা,,,!!
বাইরে শীত বলেই যে এ গরম তার চাই,,,
তাতো নয়,,,।ক্ষুধা কারো কারো বিলাসও বটে।


সেই কবে থেকে বলছি,,,দাদা ভুলে যান
যান ভুলে এত সব শিকার,,,
দৌড়ে দৌড়ে জনাকীর্ণ জঙ্গল হতে
সবার মাঝখান থেকে যে হরিনী শিকার করেন,,
তার মাংস না খেলে শিকারের হয়ত অপমান হয় না,,,
কিন্তু হয় হরিনীর,,,।
অপমান হয়,,হরিনীর মাথাটা ঝুলিয়ে না রাখলে রাজ ফটকের দেয়ালে,,,।
আর কত?  ঘরে তো বস্তাভর্তি মাংস আছে পড়ে,,,কাঁচা মাংস,শুকনো মাংস,নরম মাংস। গরম মাংস,,,
এত মাংসের কী কোনই মূল্য নেই?
এই মাংসের কী কোন মান অপমান নেই?
যদি এই মাংস নাই খাবেন চিবিয়ে  আপনার দন্তে,,,
এই মাংসের সম্মুখেই যদি আপনি হবেন বার বার শিকারী,,,
আড়ালে আবডালে,ফোনে,জমায়েতে,টিভিতে,পত্রিকাতে,সম্পর্কে অসম্পর্কে খোঁজেইই যাবেন নিত্য নতুন হরিনী,,
তাহলে মুক্ত করে দিন ঘরে বন্দি মাংসটাকে,,,
তার দন্ত না হলেও ব্যাধের নজর মিলুক বার বার ভিন্ন স্থানে,,ভিন্ন ভিন্ন ভাবে,,,
যে অধিকার তুমি নিচ্ছ,,,সেই অধিকার দিও তুলে তার কপালে।
সিঁদুর হয়তো পরো না পুরুষ ললাটে,,,কিন্তু ললাটে সিঁদুর পরানো বেশ ভালোই জানো,, সেই কবে থেকে,,,!!
লাল সিঁদুর, কালো সিঁদুর, হাওয়া সিঁদুর,, আর কত কিযে?
এমন সিঁদুর মিলুক তারও আয়তনে,,,যাকে বস্তা বন্দি করে রেখেছ,,আপন ঘরে।