(সবাইকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।কৃষ্ণের বাঁশির সুরের মত প্রেমময় হোক সবার জীবন)


ছেলেটাকে সুস্থই মনে হয়েছিল।
পরনে প্যান্ট,গায়ে শার্ট এমনকি চোখে নীলাভ চশমা।কিন্তু লোকে তাকে পাগল বলল।
কারন হাতে তার বাঁশি।


অবাক হলাম! ভারত বর্ষের মাটিতে তাহলে
বাঁশি আজ মস্তিস্ক বিকৃতির প্রতীক?
তলোয়ারের আঘাত পড়লো, সুরের মূর্ছনার উপর?
কাছে গেলাম,এক বুক বাগান নিয়ে।
হাতের রেখাটার দিকে তাকিয়ে বললাম কে তুমি?
ছেলেটির সহজ সরল উত্তর,
আমি কৃষ্ণ,মথুরাধিপতি, বৃন্দাবন নাথ।
চমকে উঠলাম,,,,
আবার বললাম, তুমি কৃষ্ণ?
মাথা হেলিয়ে একেবারে কৃষ্ণ ভঙ্গিমায় বলল
হ্যা আমি কৃষ্ণ।
তবে ঈশ্বর নই,তোমাদের ভগবান নই।
আমি এক মানুষ,কৃষ্ণ মানুষ।
কেন তোমরা আমাকে দেখনি তাম্বুল খন্ডে,,,
বুঝ নি নৌকাখন্ডে?
দান খন্ড, মান খন্ড প​ড়নি শ্রী কৃষ্ণকীর্তণে।
দেখ নি অভাগি রাধার আকুতি মিনতিতে?
চিনো নি আমায় মাখন চুরিতে?
পাওনি খোঁজে যশোদার শাসন ভালবাসায়?
পেয়েছ তো?
তাহলে চিনে নাও আমায়
তোমাদের হৃদয়ের স্পন্দন হাতের তালুতে নিয়ে।
আরশিতে দাড়িয়ে পরে নাও ময়ুর পাখা শিরে,
বাকা ভঙ্গিতে দেখে নাও কত মুরলি তোমার হাতে!
কত রাধার উতালা চিত্ত মিশিয়েছ চিত্তে!


দেখেছ আমি কতটা প্রেম,তুমি কতটা প্রেম
কতটা কৃষ্ণ এই বায়ুর ধরাধামে?
কতটা শুধু বাশির সুর জগতে জগতে?
কতটা সুবল সখা প্রতি জনে জনে।
কতটা সুদামা তোমাদের সাথে?


তোমরা মানুষে ঈশ্বর দেখেছ
মানুষ দেখনি ঈশ্বরে!


খেলিতে খেলিতে কৃষ্ণের ছবি সাথে
এই শিখেছি আমি আমার বাল্য জীবন হতে।
মুচকি হাসি হেসে বলল তা ছেলেটি,
হাওয়ায় হাওয়ার সুদর্শন চক্র চালিয়ে।


সত্যি কি ছেলেটি পাগল
নাকি কৃষ্ণ আছে লুকায়ে তার মাঝে?
নাকি বাঁশিটিই তার কৃষ্ণ এ জগত সংসারে?
তাহলে আমরা? আমাদের হৃদয়ের বাঁশির সুর?
-----------------------------------------------------------------------
রুবেল চন্দ্র দাস
১৪/০৮/১৭
প্যারিস।