আমি ঈশ্বরীকে অপহরণ করতে চাই,,,
মুখ চেপে ধরে রাখতে চাই অনন্ত কালের জন্যে।
এত কথা বলেন ঈশ্বরী,,,,!
লাল কথা,নীল কথা,কালো কথা
শুধু কথা আর কথা!
মন্দিরের আসন যেন শুধু অধিকারের ভুমিতে দাঁড়ানো
কর্তব্যের জমিতে শুধু আশা আর আশা।


পেটের ক্ষুধার চেয়ে চোখের ক্ষুধা তার বেশি
আমি তার চোখে সবুজ পাথর বেধে দিতে চাই
দিতে চাই নীল রিঙের নীল মণি লাগিয়ে
পানির দূটি ঝর্ণা ধারা দিব বসায়ে,,,
তবুও যদি সে কাঁদতে  শিখে,,


আমি ঈশ্বরীকে দিয়ে
সারা বেলা মাঠে কাজ করাতে চাই
তারপর শুনাতে চাই টিভি,পত্রিকা ভর্তি
দেবতাদের নানান ভাষণ আর চুষণ,,,
ঈশ্বরকে আমি প্রবাসে পাঠাতে চাই,,,
হাড় ভাঙ্গা গতরের দাম দিয়ে
কেনা জীবনের
মূল্য বুঝাতে চাই,,,,
চাই তার গায়ে কাটা কচুর পানি লাগিয়ে
কচু শাক খাওয়াতে,,।
তবুও যদি সে রিজার্ভ ব্যাংকটা বুঝে?


আমি ঈশ্বরীকে কোথাও গরু আবার কোথাও শুকর
বানাতে চাই,,,,
ভোট অভয়ারণ্যের বুকে তাকে ঘাস খাওয়াতে চাই
ভোটের তোষণ
প্রাণ দানে দানে সে যদি ভাবে।
যদি বুঝে কথার চেয়ে ব্যথাটার স্থান মনে
কেবলি মনে।


ঈশ্বরীকে আমি  শাড়ি পড়ায়ে বাসে, ট্রামে,রিক্স্যায় ছড়াতে চাই
চেনাতে চাই শকুন আর উকুন কত তার ছায়াতলে,,,
আমি ষোড়শী বালিকা করে মোল্লার বাড়ির সামনে
তাকে কথ্যক নৃত্য করাতে চাই,,,
দেখাতে চাই বোরখার দর কেমন করে বাড়ে,,
আমি ঈশ্বরীকে বাল্যশিক্ষার পাতায় পাতায় পাঠ দান দিব
চিনিয়ে দিব কুসুমের ভেতর সুই থেকে পেরাগ কেমনে ঢুকে,।
আমি তাকে হিল্লা বিয়ের আসরে নাচাব,,,
হিল্লা বিয়ে দিব সবচেয়ে সুন্নতী হুজুরের সাথে,,,,
কালীঘাট থেকে শ্মশানঘাট রয়ে যাবে কী বেশি দূরে?


আমি উনাকে রামুর বিহার, বাংলার রাকেশের দুয়ারে নেব
নেব পাক ভুমি থেকে বালু ভুলির প্রতি বিধর্মীর ঘরে ঘরে
তবু ঈশ্বরী যদি চেনে
গিরগিটি আর মানুষ কাকে বলে?


##################################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
৩০/১০/১৭