যা হবার তাই হয়েছে বাঁশি ,,কাঁদছিস কেন?
তোর বাঁশের অংগ,, বাঁশ দিয়েই
পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে,,,,বাঁশীর দেশে?
সেই জন্য কাঁদছিস? হা হা হা,,,,
হাসালি বাঁশি,, হাসালি,,,!


সুবুজ মাটির বুক যেখানে দখল করে নিয়েছে
খেজুর দেশের রসকষহীন বালু,,
সেখানে নিজের দেশে নিজের এমন
অবধারিত মৃত্যু দেখে কান্না কেনরে?
মরেছিস তো বেঁচে গেছিস,,
অন্তত গণজমায়েতের পায়ের নিচে পড়ে
মন্দিরে পূজায় লাগা দূর্বা ঘাসের
পিষ্ট হয়ে মরনের মত
অপমৃত্যু তো,,,,তোর আর হয় নি!
যা যা,,, কাঁদিস নে,,,কৃষ্ণরা যেখানে অবাঞ্চিত
সেখানে দুঃশাসনদের শাসনইযে,,, হয় আকাঙ্ক্ষিত।


ওই ঢোলও,, ,মাটিতে ছাই হয়ে শুয়েও শুয়ে
নিজের বুকে নিজে পেটাচ্ছে রোদন মাতমে,,,!!
কেন রে কি হয়েছে?
একেবারে এসিড পুড়ার মত তোকে
জ্বলসে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে,, জান্নাতে।
না না তুই তো জান্নাতে যাবি না ঢোল
তোকে জান্নাতে যাবার ছাড়পত্র তো দেয়নি
এদেশের বিশ্বাস বেঁচে খাওয়া বিষ পোড়ার দল।
তাই তুই জাহান্নামেই যাবি ঢোল,,,
তুই জাহান্নামেই যাবে,,
জাহান্মামের আগুনে পুড়া যে কথা
দুর্বৃত্তদের উল্লাসপনায় পুড়াতো একই কথা।
তাহলে,,তাহলে এত মাতামাতি কেন করছিস
পুড়ে যাওয়া ঢোল,,বলত।
মরন যাদের কপালে লিখা,,,তাদের মরন
বিচ্চুদের আক্রমনে বিচ্চুরা করে ফেললে
বিধির পরিশ্রম টা যে একটু কম হয়রে।
থেকেছিস এতদিন দয়ায় বেঁচে,,
আবার কাঁদছিস প্রাণের অধিকার নিয়ে।
মর,, ঢোল,,মর,,ভালো করে মর,,
এতদিন না মরে
বেঁচে থাকতি গেলে কোন দুঃখে?
তোরা এভাবে মরলেই তো,,,
পদ্মার জল দখল নিবে মিশরের নীলনদ,,
তোরা এভাবে মরলেই তো,,বাগানের আম বৃক্ষ
রাতারাতি হয়ে যাবে খেজুর গাছ,,
তোরা মারা গেলেই,,,সব শাড়ি
নিমেষেই হয়ে যাবে বস্তা সম বোরকা।


বড্ড জ্বালিয়েছিস এতদিন,,,
বড্ড করেছিস বেহায়াপনা বেদাতি কাজ।"
বড্ড নেঁচেছিস ছিড়া চাঁদের নিচে,,
এবার তো দেখলি,,,,খেজুর বনের বাঘ কেমন হয়?
এবার তো দেখলি,,,শুভ্রদলের কালো কুচকুচে দাঁত কেমন হয়,,,।
তাও দেখস নি,,,?
দেখবি কেমনে ঢোল,, দেখবি কেমনে
জেগে জেগে যদি ঘুমিয়ে থাকিস বাঘের সম্মুখে
শিয়াল কে বোয়াল ভেবে পানি করাতে চাস পান।
তাহলে নিজের মৃত্যু নিজেই যে করলে আহবান।


ও ঢোল,,একটু এদিক তাকা,,না
বলনা তোর সাঙ্গ পাঙ্গরা কেমন আছে,,,?
ওই যে কি এক হারামী হারমোনিয়া,,
শ্যালা কি অশ্লীল সুরে গায়রে,,,
ও দোযখীর গলাটা ভাল করে পুড়েছে তো।
কত বার নিষেধ করা হয়েছে তাকে,,
কত বাউলের অন্তর হতে চাকু ঢুকিয়ে
বের করে ফেলা হয়েছে তারে, রাস্তার পরে,,,
কতবার তার গায়ের উপর লেখা হয়েছে,
কাফের,,তবু শ্যালা থামলো না,,
হারমোনিয়াম হয়েই কথা বলল পথে,ঘাটে
এমনকি সংসদে।
সংসদ কি আর হারমোনিয়ামের জায়গা,,,
সংসদ কি আর পাতা লতা ঘাসের সুরের জায়গা
যে সংসদে মাটির নিচের তেলের লোভে
তোদের করা হবে কর্তন,,
তোদের পুতা হবে কবরে,,
সেই সংসদে কিনা তোরা কথা বলিস গলা তুলে!
তাই মাটিতে থেকে মাটিরে ঘৃণা করা জনতা
আজ্রাইল হয়ে দেখালো তাদের,,বিশ্বাসী ক্ষমতা।
দেখালো কেমন নিভাতে হয় জ্বলন্ত প্রদীপ
কেমন করে আনতে হয় অন্ধকার
কেমন করে স্তব্দ করে দিতে হয় প্রগতি
কেমন করে ধ্বংস করতে হয় বিশুদ্ধ বাতাস
কেমন করে চুষে নিতে হয়,,
সত্য সুন্দর হরিনের রক্ত হায়েনার জিহবায়।
তাই,,, ডালে বসেই ডাল হারালি হারমোনিয়াম
লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘরেই সাপে কাটিল তোরে,,।
মায়ের কোলে  তোর মত এমন অসহায় শিশু
আর কবে কে দেখেছে ভবের এ সংসারে।
তুলসী পাতার শাসন সাইনবোর্ড তলেই
তুই হারালি তুলসী প্রাণটারে।


এ তেমন দোষের না হারমোনিয়াম
এ তেমন দোষের না,,।
এমনতর সবুজ রঙের পোশাক পরা
মরুভুমি প্রেমি দেশে দেশে হয়,,হয়ে আসছে।
এ মেনে নিয়েই বাঁচতে হয় বাকীদের,,,
এ মেনে নিয়েই,, হাসতে হাসতে সবার সামনে বলতে হয়
আহা, আহা আমরা কত সুখে আছি,,,গো
আমরা কত নিরাপদ আছি,,,উনাদের মাঝে।
যারা পিস্তল ধরে সুখের গান গাওয়ায়
শোক পাখির মুখে,
আমরা খুব ভালো আছি এমনিভাবে এমন সমাজে।
কিন্তু ভালো থাকতে দিলি না তুই,,,
কথা নেই বার্তা নেই,,,গান গাওয়া শুরু করতি,
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম,,
গাইতি,,জাত গেল জাত গেল বলে,,,
গাইতি মানুষ ধর মানুষ ভজ,,,
কেন গাইতি এইসব সাম্প্রদায়িক গান!!!
জলে বাস করে কুমিরের সাথে
মিলন না করে,,করতি প্রেম প্রেম যুদ্ধ।
করতি গান গান যুদ্ধ
যে গান পছন্দ হয়না ভাইরাস বন্ধু ভাইরাসি ওয়াজিদের
যে গান পছন্দ হয় নাসিরনগরের ভেতরের নাসিরনগরের
যে গান পছন্দ হয় না,,,রামু পোড়ানো ধর্ম প্রাণ পঙ্গপালের
যে গান পছন্দ হয় না চার্লি আবদোলের গলায়
চাকু চালানাতে নীরব থাকা জনগনের,,,
যে গান পছন্দ হয় না সিরিয়া,আফগানে
এমনকি পহেলা বৈশাখের শ্রাদ্ধ করতে চাওয়া বয়ানকারীদের,,
সেই গান,,সেই গান কেন চলবে
কসাই কসাই খেলায় উর্বর এই জান্নাতমুখী ভূমে?


যে ভুমে অভিজিৎদের লাশ পাওয়া যায় খুবই সহজে
যে ভুমে ভাতের মধ্যেও
মস্তিস্ক ব্যবধান পাওয়া যাহ খেজুরের ঘ্রাণে ঘ্রাণে।
যে ভুমে মহামারী হয় অন্ধ বিশ্বাসীর নব সহচর।
যে ভুমে বালক হতে বালিকারা রেহাই পায় না
নানান পবিত্রের অপবিত্র বিলাস হতে,,
যে ভুমে বাউল গানের আসরে চালানো হয়
জোর জবরদস্তির আযান।
যে ভুমে বাউলদের আবদ্ধ করে রাখা হয় জেলে,,
যে ভুমে মুক্ত থাকে তেতুল লোভী,,নারী খেকো হুজুর
সে ভুমিতে গান,,।সে ভুমিতে গান!! সে ভুমিতে গান!
বড়ই অপমান,,,।
ভুতের ভুমিতে তুলসী পাতার মূল্য গোবরের চেয়ে
যদি না হয় নিকৃষ্ট,
তাহলে ভূত ভূমি কি আর হয়, ভূতের জন্য উৎকৃষ্ট?