ভোর,,,
ঘড়ির কাটার দৌড়ানু যদিও থামেনি
কিন্তু থেমে গেল তার শান্তির ঘুম।
চলন্ত আতশবাজি গুলো আকাশ যতই রাঙ্গিয়ে দিক নিমিষেই কিছুক্ষণ পর যে অন্ধকার,,,,


সেই অন্ধকারেই পায়ের জুতা পায়ে লাগিয়ে
নেমে পড়তে হয় যাকে,,
রাস্তার বুকে শিশিরের উপর পায়ের চিহ্ন দিতে হয় যাকে,,তার কোন চিহ্নই নেই জীবনের সাথে!!
জীবন যেন বনের মাঝে মনের বিচরণ,,
জীবন যেন আশার পথে পথে
আশা ভঙ্গের উদযাপন।
কিন্তু কেন?
সে কি অক্সিজেনের দাম দিচ্ছে না পরিশ্রমে
সেকি উদরের মূল্য দিচ্ছে না দুনিয়ার বুকে,,,
বেঁচে থাকার নামে সাজিয়ে কি যাচ্ছে না সে ধরিত্রী
আগামীর তরে?
তাহলে তার অমূল্যের মূল্য কোথায়?


কোথায় তার বাগানের কলি গুলো ফুল হবার বাসর
কোথায় তার জন্ম চক্রের গোপন উৎসব?
সে কি হারিয়ে ফেলেছে কালি থেকে কলমের দূরত্ব?  
নাকি এটাই তার জীবন,,,?


প্রতিদিন কার পূজার তরে কার মন্দিরে গমন
অথচ নিজের মন্দিরে নিজের দেব দেবী উপবাসী
চিরন্তন,,,।


নাকি এভাবেই বেচে থাকে পানি,,,
কখনো নদী হয়ে, নালা হয়ে,সাগর হয়ে,,
মুছে দেয় জ্বালা ভিন্ন বুকের।
বাষ্প  হয়ে ভেসে ভেসে ছায়া দিয়ে যায় অপরে...
বরফের বুকে বাসা বেধে হাজত সুখে,,,
আবদ্ধ করে রাখছে অকাল সুনামী
ভিন্ন প্রাণের তরে।