ঘাস কাটছো?
কেমন করে ঘাস কাটো মদন?
কাস্তে দিয়ে নাকি হাত দিয়ে?
হাত দিয়েই ঘাস কাটার জন্যেই তোমার জন্ম মদন।
কাস্তে সেটা তো এখন বড় লোকেদের দখলে,,
নামী দামী প্রতিষ্টিত কোম্পানীর দখলে,,,।
হাত দিয়েই ঘাস কাটো মদন
হাত দিয়েঈ কাটো,,,
হাতের চেয়ে দাঁড়ালো কাস্তে আর কী আছে?


হা হা নেই,,
মদন তোমার মনে আছে এই ঘাসের মতই তুমি
খুব লিকলিকে ছিলে,,,ছিলে খুবই নরম,,খুবই হেলেদুলি।
তোমার ভালো লাগত,,,ওই লম্বা দৌড়,,,
বিনা দিদিদের বাগানের আম গাছ,,,
পুঁড়া বাড়ির ভাঙ্গা দালানের কোন এক স্থানে
গোপনে বড় হওয়া দুটি লাল ঠোটের বাচ্চা।
লাল ঠোট চেনো মদন? চেনো,,,?
কি করে চিনবে,,,।অজানা সিগারেটের চেনা জানায় ধধুয়ায় তোমার ঠোট যে কবেই হারিয়েছে লাল বর্ণ।
তোমার ঠোট আর পায়ের চামড়ার শক্ত কালো অংশ যে এক।
মদন,,শক্ত অংশ এক,,।
ভেবো না তোমার ঠোট আর লাল আছে? ভেবো না তা আর নরম আছে!
কবেই হয়ে গেছে জোয়াল টানা কাধের শক্ত অংশ তা তুমিই জানো না,,,
তুমি জানবে কি করে,,,?
এই ঠোট দিয়ে  তুমি বাংলায় কথা বললেও,,, বাংলা তো এই  ঠোটে কথা বলে না মদন,,কথা বলে না।
দেবতার পাথরে ঠোট দিয়ে চুমু খেলেও,, পাথর ঠোট দিয়ে চুমু তোমাকে খায় না,,,
আর এই জন্যেই ঘাস কেটে,,, কেটে কত পশুর সেবা করে যাচ্ছ তা না জানলেও,,,পশু গুলি জানে তুমি তাদের কাছ থেকে আকাশের মেঘ ভিন্ন,, সামান্য কুয়াশার মত কিছুই পাও নি।
কিছুই পাও নি,,,
পেয়েছে শুধু দায়িত্ব।তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে হবে,,অসুস্থ মা কে কোলে তুলে স্নান করাতে হবে,,রাঁধতে হবে মায়ের  হাতে,ঔষুধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে দৌড়াতে হবে এ দোকান হতে সে দোকানে
দৌড় তোমার কবে থামবে মদন?কবে?
কবে থামবে তোমার স্বপ্ন নেশা?
কবে ভাববে তুমি এভাবেই বেঁচে বেঁচে যাচ্ছ মরে,,।
হাতে তোমার রঙ তুলি আছে,,,তুমি আঁকছ জীবন,প্রাণ আর ঈশ্বর,,,
তুমি এঁকে এঁকে দেখাতে চাচ্ছ মানুষ,,,দেবতা,,, আর ফেরেস্তা
ফেরেস্তাদের এত সময় কোথায়,,তোমাকে তাদের মনে আঁকার?
ঈশ্বরদের এত দয়া কোথায় তোমার মায়ের পাশে বসার।
মদন তুমি কেঁদে কেঁদে চোখের কোন শক্ত করেছ,,
পাথরে চুমু খেতে খেতে ঠোট শক্ত করেছে,,
কিন্তু কোথায় জানি কোন নগরী তোমার এখনো ভাসছে তরল জলে,,,
ডুবাডুবি খেলার জলে,,,।
কবে তা শক্ত হবে মদন কবে?
কাস্তের বদলে আর কত হাত লাগবে তোমার,,, কত হাত লাগবে তোমার পাথর সম হতে,,,?
নাকি জন্মটাই তোমার এমন,,
স্বইচ্ছায় মেগে নিয়েছ ঈশ্বর হতে,,
শিল্পী হতে হলে নরম, তরল যে থাকতেই হয়,,পাথরের মহড়াতে।