রাগ করবি নাতো,,,,একটা কথা বলি
যে জুতো জোরা পা দিয়ে চলছিস
মাঠ হতে মাঠে,গৃহ হতে গৃহে
তার বদল কবে করবি নুপম,,
আর কত একই জুতায় ঢেকে রাখবি পা,,,,
আটকিয়ে রাখবি পা,,,,
এবার একটু স্পর্শ করে নে মাটি
দেখনা মাটির কত প্রাকৃত সুখ,, প্রাকৃত অনুভুতি
ইটের ভাটায়ও মাটি হাসে,,,
কুমারের বাড়িতেও মাটি হাসে।
তাই না,,শুননা তোর বাড়িতে আসার সময়
একটি নদী পাড় হয়ে আসছি,,,বিশাল বড় নদী।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় জানিস কী,,,
ওই নদী হতে অনেক কচ্ছপ উঠে আসছে ডাঙায়।
ওরা এখন সূর্যের তাপ চায়,,,মাটির স্পর্শ চায়
চায় বাতাসের মত মুক্ত অদৃশ্য হাওয়া।


আচ্ছা শুনেছি অনেক দিন ধরেই
তোর ঘরে নাকি একটা যন্ত্র গান গেয়ে যায়,,,
ওই লুকিয়ে লুকিয়ে আড়ালে আবডালে গায়।
যে গান শুনে পাহাড়ের মেঘ ছুতে আসে
তোর ঘরের চালা,,,
যে গাছেতে কলি আসার কথাই নয়
সে গাছেই ফোটে যায় ফুল।
ঘরের ভেতর হতে টিকটিকিটাও
ভুলে যায় তার স্বভাবের বোল।
ওই যন্ত্রটা ধর তোর হারমোনিয়াম হতে পারে
হতে পারে তবলা, ঢোল বা অন্য কিছু,,


কিন্তু কবে, কবে তুই সেই যন্ত্র গুলিকে
বের করবি তীর্থস্নানে,
ছেড়ে দিবি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে,,,
কবে তাদের স্বাদ দিবি,, একটু কথা বলার
কোন মাঠে,কোন উদ্যানে,কিবা কোন জনপদে?
আর কতদিন মাটির ভাষাকেই রাখবি
মাটি দিয়েই চেপে,
আর কতদিন ঘরে পোষে যাবি শুধু গবাদি,,,


নিজের চোখের সম্মুখে মনের আকাশ হতে
হাজার তারা খসে পড়ে গেল
আর তাই বলে এতটা স্তব্দ তুই?
নুপম খসে পড়াই  যে
সব কিছু নষ্ট হওয়া যাওয়া নারে,,
আকাশ হতে খসা মেঘ যে
বৃষ্টি হয়ে সাদ পায় ধরিত্রীর,,,
স্বাদ পায় সাগরের।
গাভীর ওলান ছেড়ে আসা দুধ
রূপ নেয় অমৃতে
এই রূপে রূপে হাজার বার মৃত্যুর মাঝে
রয়ে যায় হাজার বার বাঁচার আহবান।
আর ওই একটি বাঁচাই হয়
আরো লক্ষ কোটি বার বাঁচার অবলম্বিত সম্মান।


তবু জানি অনেক প্রশ্নের বৃক্ষ তোর উঠানে,
গজিয়েছে নানান শাখা প্রশাখা
তোর ঘরের যন্ত্র আর তোর গলার সুর মিলে যেকোন সময় যেকোন বসন্ত
নিয়ে আসত পারত উদ্যানে!
চারদিকে লাগিয়ে দিতে পারত তৃপ্তির মহামিছিল
হয়ত কোন মিছিলই আজ হয়নি বাজারে
হয়নি পাড়ায়,মহল্লায় কিবা কোন গৃহে।
তাই বলে সবকিছুই যে
এখনো শেষ হয়ে যায় নি নুপম,,,
দেয়ালের ঘড়িটা না হয়
একটু বেশিই ঘুরে ফেলেছে
দুর্গা পূজার বিসর্জন না হয় একটু
বেশিই হয়েছে,,
কিন্তু এখনো তো ঘুরছে,,,,
ঘুরছে আহ্নিক,ঘুরছে বার্ষিক গতি,,,
তোর শুভকামনায় কেউ হয়ত দেয় নি জল তুলসীতলায়,,,
তবু তুলসী যে এখনো জন্মায়।


উঠ উঠ,,ধর সুর,,বাজা যন্ত্র
ঈশ্বরকে ধরে আনার
এটাই যে তোর মহামন্ত্র।