যেদিন ধান ক্ষেতের সবুজ ডগায় বসেছিল,,
হলুদ রঙের ফসলি চিঠি নিয়ে দুটি আগন্তুক পাখি
সেদিন ই বুঝেছিলাম,,আজ নতুন করে শুরু হয়েছে বাতাসের পালাবদল,,,
সবচেয়ে বড় ঘন্টিটা,, নিয়ে শ্বাস,,আবার করবে শুরু ম্যারাথন দৌড়,,
জল পান করেই আবার পাখাওয়ালা ঘোড়াটি
দিবে উড়াল,,কালবৈশাখির মেঘ ভেদে,,!
শুকনো মাটের পরে নেমে পড়বে বীর যুবক রৌদ্র,,
তলোয়ার হাতে চেপে ধরবে ঠোট সব মানবীর।
তরমুজ সন্ধানে গরম সূর্য নেমে আসবে ধরায় একটি শীতলতার সন্ধ্যানে।
কাছে এসে পরম যতনে শ্রান্ত দেহে বলবে
বিজলীর গর্জন
আমাকেই নিয়ে শুরু করো,,করো না নতুন আবর্তন।


বিদায় তো হয়েছি বেশ্যা বসন্ত,,নানান মনে
নতুন পাতায় এঁকেচ্ছ ঋতু চিহ্ন নানান কুজনে,,
এবার তো করো শুরু জীবন আমাকে নিয়ে
যেতে যেতে সহমরণে,,,।
যার নাম দিতে পারো তুমি,,ওই পহেলা বৈশাখ,,
উল্কি এঁকে বেধে নিত পারো মন থেকে দেহে,,
শাড়ির আঁচলে,পাঞ্জাবীর ভাষায় মিলিত করতে পারো অনাদৃত মিলন,,
গ্রাম্য মেলা হতে, তাল পাতার বাঁশী কিবা নাগরদোলায় লিপিবদ্ধ করতে পারো নব শক্তির দেবত্ব অর্জন।
শক্তির ভাষায়, প্রেম চাষায় বাড়াতে পারো আশা দিবস হতে যামিনী
ইলিশ সরিষা হতে পান্তা ভাতে খোঁজে নিতে পারো নিত্য নতুন আবেগের গোপন স্পর্শী।
ভাবতে পারো প্রভাত ফেরি হতে মঙ্গল শুভাযাত্রায় সকল মঙ্গল নিয়ে আসছে পদধ্বনি
ভাবতে পারো খোকার হাতে হাওয়াই মিটাই হতে,,রসুই ঘরে নানান ব্যঞ্জনের কোলাকোলি
ভাবতে পারো সবখানেই এসেছে নতুন নতুন পাতা ছিড়ে ঝড় ঝঞ্ঝা,
আগুন বুকে নিয়ে এসেছে নতুন শপথ নতুন পঞ্জিকার পাতায় সেজে,,,
ভাবতে পারো নতুন এক মুকুর এসেছে নয়ন সম্মুখে,,


ভাবতে ভাবতে এবার তাহলে
আমিও একটু নতুন হই পুরাতনের নজরে
পহেলা বৈষাখের আগমন সুবাসের চাষবাস করে।
আমিও একটু পঞ্জিকা লিখি
আমার হৃদয় বদনের আগত
সকল স্বপ্ন সাগর লয়ে।