অবশেষে আমার কন্যা সন্তান এর জন্ম হল
হাজার দ্বীপ ঘুরে ঘুরে
পাহাড় পাহাড় বাচাই করে
লক্ষণ জীবন ভেষজ আমার ঘরে এলো।


আকাশের তারা বসে গেল নিয়মিত বৈঠকে
দেবী অম্বার জনম যে হল ধরাতে,
মিস্টান্য পায়েসে ভরে গেল চারদিক।
আত্মীয় স্বজন দিদিমাদের খেয়ালে
পাকা কাঠালের গন্ধের মত
খুশিটুকুও লুকিয়ে রেখে
হতে পারি কি আমি সমসাময়িক ?


না আমি তা হতে পারি না
আমি বিজয় উতসবে গর্বের নিশানে
তুলে দিলাম উতফুল্ল ধবজা অন্দরের বন্দরে।
গাওয়ালাম গান নানা বাদ্য বাজনায়
কল্পনার সাগরে,
নেচে গেল হিজরা গণ , নেচে গেল সাপুড়ে
আর আমার চিত্ত মগন ।
লেবুর রসের মত বসিয়ে দিলাম আনন্দ খানি
সকল আনন্দ জুড়ে।
লজ্জাবতী নয়নে দেখিলাম কেবল
হংসিনী বধুটাকে একবার চেয়ে।


দুপুর পল্লব চোখে টান মেরে বিড়ালের সুরে কহিল
আমারে সে কানে কানে।
ওগো এত উতফুল্ল হলে কেন, কি কারনে?
নষ্ট জীবন আর ভষ্ম কপাল নিয়ে এ যে জন্মিল
কন্যা শিশু হয়ে।
ও যে আমাদের পুত্র নয়
তব ভাগ্যের ছায়া নয় , নয় অস্ত্রধারী।
এ যে আমার জীবন থেকে বের হওয়া
আমারই মত
আরেক অভাগা অদৃষ্ট নারী।