আমি তো নিথর পাহাড়ের মতই বসে আছি
স্বপ্ন আশার মত গজানু লতা পাতা গাছগুলোই
কেবল দুলে যাচ্ছে।
আর দুলে যাচ্ছে ভেতরে রাখা কয়েক শত
পাথর খন্ড।
মুয়ুরের পাখার মত মেঘ সৌখিন মন আমার
কখন যে বীনা হাতে গেয়ে উঠে
তা কে জানে?
কে জানে ঐ পাড়ার বৌয়ের পায়ের নুপুরের মত
বুকে মাঝে মাঝে হাসির ঝিলিক উঠে ?কে জানে।
তবুও তো আমি বসে আছি।


বসে আছি সাগর পাড়ে চিল
কিবা হাওড় বুকে এক পান কৌড়ি হয়ে।
পেছনে নগর গ্রাম সভ্যতা আর সামনে
বিশাল এক সলিল নৃত্য ছাড়া কিছুই নেই।
জন্ম নাড়ির মত যা আমায় খুব বেশি চেনে
চোখের পাতার মত যা আমায় বিশ্রামে পোষে।
আমি তার পাশেই বসে আছি
সিডর আইলার বুকে এক বৃক্ষের এক পাখি হয়ে।


আমি তো শিশুর হাতের খেলনার মত খেলে যাচ্ছি
সবার সাথে।
কার শখে কে আমায় পাশে নিল চুমু খেল,
আমিও খেলাম তাকে।
আনন্দে উৎসবে নেচে উঠল মন , পাড়ায় পাড়ায় শুরু হল কীর্তন।
তবুকি আমি খেলা হতে পেরেছি অবশেষে?
কে যে কবে আমায় ফেলে দেয় ভেংগে
তা এই চম্পা ফুল মন কি আর নাই জানে?


আমি জানি সব বুঝি সব
আবার জানিনা সব বুঝি না সব
শুধু নেচে যাই এই দুনিয়ার রঙ্গময় আসরে।
সুখের কলরোল কল্লোলে যখন কুমুদিনীর মত
নেচে উঠে একসাথে ।
তখন মনে হয় জন্মই আমার সার্থক হল
এই দুনিয়ার বিরহ সুখ লয়ে।
আমি পাহাড় ফুল পাখি নদী যাই হই
যাই হই না কেন এ ভুবনে।
স্থান স্থানান্তরে
চলিতেই হবে, বাচিতেই হবে
আপনাকে আড়াল করে।