অচেনা অজানা এক
ঘুমন্ত নারী দেখিলে অর্ধ্ব নগ্ন বক্ষে
পাশের শূন্য বালিশে বাম হাত খানি উন্মুক্ত
সাদা কাগজের মত থাকিলে পড়ে....
কার না জাগে তেতুল সাদ
তেতুলের বনে বসে পাঠশালায় চলে যেতে।
লিখে দিতে জন্ম কলমে নানান গোপন কথা
শখের কালিতে ভিজিয়ে দিতে
সকল স্থান শুকনো মর মর পাতা।
একটু খোলা একটু বন্ধ সম্মুখের দরজা খানি
মনের লগি কি চায়না ঢুকতে সেথায়
রাখতে তার বিলাসী পায়ের পানি!!
ঘুমন্ত নারীর জাগ্রত শহরে হতে
বিজয়ী আলেকজান্ডার।
ডান্ডার মাথায় জান্ডা বেধে বলে দিতে
এই দুধের কাপে সুরার সভ্যতায়;
এ ধরিত্রীর বুক খানি
আমার/
এই বালিশ খানি আমার/
এই ঈঙ্গিতি হাত খানি আমার।


তোমরা যে দিয়েছ তুলে সিদুর চিহ্ন বর্ডার
তার ললাটে/
সেথায় যুগ যুগ ধরে দাসত্যের বানী দিয়েছ তুলে,
বলে দিয়েছ
পশুত্বের জঙ্গলি পরিচয় মঙ্গলি নামে।
মুক্তিরে করেছ পরাধীন।
উন্মুক্তকে করেছ আবদ্ধ /
আমাকে করেছ পরবাসি আমা হতে।
আমার থালার দুনিয়া নিয়েছ কেড়ে
আমা থেকে।