যেখানে পঙ্কিলতা উড়ে এসে
বাসা বেধেছিল তার নিজস্ব রক্তপ্রিয় অস্ত্রে।
সেখানে আগামীকাল মহাবীর সূর্য উঠবে,,
তুলসীর তলখানা ফিরে পাবে তুলসী,,
যেথায় জংলী কুকুর করে দিয়েছিল নিজ কর্ম
হয়ে চিরন্তন অভ্যাসী সন্ত্রাসী।


তাই আলো জ্বালো,,
জ্বালো আলো,,
না না সারা গৃহে নয়,,,
যেখানে একটু অন্ধকার আছে
নানান বাহানায়,,নানান মুখোশে,,,
ঠিক সেখানে
সামান্য প্রদীপ জ্বালো,,,
সূর্যের স্বাদ দাও ,,মানবীয় প্রেমে।
সারা বাড়ি জুড়ে অঙ্কন করো
তোমার চিত্র,,বেশ ভালো করে।
যদি ভবিষ্যতে কোন ডাকাত
দখল করে নিতে চায় তোমার গৃহ
বা নিয়ে নেয় উদরে ভরে।
সে যেন আজিকার দিন স্মরন করে
ভয় পেয়ে আলোর জোয়ারে।
সেও যেন চরম মানব প্রেমে
তরবারি ফেলে প্রেম মাগে দুয়ারে দুয়ারে!!!


শুধু কী তাই
প্রয়োজন হলে তার বুকে  পা দিয়ে
বের করতে পারো যেন নিজেকে ,,,খুব সহজে।
উড়ে আসা ধুলিবালি যদি ঢেকে দেয় নদীর বুক
কিবা সমগ্র পদ্মবিল ,,,,বিবস্ত্র সন্ত্রাসে।
তাহলে নদীর জল যেন শত শত বছর পরে
দাঁড়ায়ে যায় বালির সম্মুখে!
হুংকারে গর্জনে পদ্ম যেন জানিয়ে দেয়
হাজার বছর পরেও ,,ওই বেহায়া বর্বরকে।
তুমি মোদের পূর্বপুরুষের কতলকারী,,
তুমি মোদের ছায়াকে মোদের হতে
ঢেকে দেওয়া সেই ত্রাসী
যে ভালবাসায় নয়,,
ধ্বংস নেশায় তুর্কি নাচন পেশায়
নিয়েছিলে পূর্বজের
বাচার সাহস সব টুকু কাড়ি।


তুমি আমাকে মিশিয়েছ আজ তোমার স্রোতে!
তুমি আমাকে সাজিয়েছে তোমার মত করে
এত বছর ধরে?
পেরেছ কি বানাতে আমায়
তোমার মত করে?
তুমি আমার ,,পহেলা বৈশাখ ভয় পাও
ভয় পাও আমার গায়ের শাড়ি।
ভয় পাও আমার থালার ভাত
ভয় পাও আমার হাতের চুড়ি,কপালের টিপ।
তুমি ভয় পাও আমার গান,আমার বাজনা
ভয় পাও সব,,ওই সব
যা দিতে চেয়েছিলে ,,,একেবারেই ঢাকি।
করে দিতে চেয়েছিলে ,,আমার সব সোমপুর বিহার
কিবা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়!


তুমি চেয়েছিলে,,আমার হাড়িকেনের আলো
তোমার গুহার আলোর মত হবে।
তুমি চেয়েছিলে আমার গোয়ালের গরু
রাতারাতি তোমার ভূমের ছাগল হয়ে যাবে।
চেয়েছিলে হাড়িতে আমার মশল্লা নয়
পুড়িয়ে খাওয়ার বন্য বন্য খেলা রবে জমে।
পেরেছে কী?


ওহে পাপী,ওহে বেইমান,ওহে উলঙ্গ খুনী,,,?
তুমি কি করে ভোলাবে আমায়
তোমার জুতার তলে এখনো আমি
বাচাও বাচাও বলে
পূর্ব পুরুষের চিৎকার শুনি।


তুমি যে চাদরে আমারে রেখছ ঢেকে
সেথায় আমার স্বাস নেওয়ার কিছুই নেই
সেথায় তোমার কু-শাসন ভিন্ন
ভালোবাসার আসন নেই।


তুমি চেনই না ,,আমি কি?
তুমি জানোই না,,আমরা কী
কেমনে বাঁচি,কেমনে রচি আমাদের হাওয়ায়
তাই তোমার ফুসফুসের বাতাসের
বেলুনের ভিতর আটকিয়ে আমায়
বলাচ্ছ বার বার
এখানেই স্বর্গ সুখ পাওয়া যায়!!
হা হা হা,,,,
এখানেই স্বর্গ সুখ পাওয়া যায়!!!!


অধম তুমি,সর্বনাশা তুমি
তুমি পরদেশি,,,পরগাছা।
ডাল কাটিয়া ডাল লাগাইয়া
করিলেও গাছের পাতার পরিবর্তন।
শিকড় তার যায় না ছিড়া
যতই করো,,আক্রমন অত্যাচারের
যুগ যুগ সমাবর্তন।
তাই দেখো,,,
আগামী কাল ,,
হাড়ির ভিতর রাজ্য ,,,ফিরে পাবে হাড়ি
মুখের ভিতরখানি হবে ,,,,,মুখের
মস্তিস্ক ফিরে পাবে ,,,,,,মস্তক
আপন বলে ,,,,,,বল হবে বলিয়ান,,
জানিয়ে দিয়ে,,,সমগ্র বিশ্বে
দখলদার প্রেতাত্মা একদিন ,,
পাবেই পাবে
মহা অসুরের,,দুর্গন্ধ সম্মান।


অসুর যাবে ,,অসুর সরবে
কর্ম নিয়তি ধরে।
সূর্য যেন অসুর নৃত্যে
না যায় কভু পরে!!
প্রেমের বন্যায় ,প্রেমের ঝর্নায়
হাত বাড়াও চৌদিকে,,,।
মানব প্রেমে যে জন প্রেমী
তারে জড়িয়ে ধরো বুকে।


ঘর ফিরে পেলেও ঘর,,
রয়ে যাবে অন্ধকার,,।
ভালোবাসার জন্য  যদি
চাষ না হয় ভালোবাসার।।