১)
প্রতিদিন পাতায় পাতায় কথা হয় না,,
মাঝে মাঝে হয়।
তবে সামনে গেলে হাটু কাপে,,
গীর্জা কাপে,,কাঁপে দেবালয়,,
কোথায় জানি রেলের মেশিনে
কয়লা পুড়ার ঘ্রাণ শুরু হয়,,
সিনেমার নায়িকার দর তখন থেকে জল সামান্য,,,
পত্রিকায় সাংবাদিকও অতীব তীব্র প্রেমী
পাখিও নেয় তালিম গানের রেওয়াজের,,,
আরো আরো ভালো কুজনের।
আড়ালে দিন রাত কথা হয় যার সাথে
এভাবেই প্রেমের,,,
সম্মুখে শুধু ভাষা হয় শব্দহীন
নির্বাক আয়োজনের।
প্রেম এভাবেই বাড়ে,,,
কল্প তরুর ছায়াতে ভয়ার্ত জীবনের,,।


২)
ভুলে যাওয়া পথ
কভু যায় না ভোলা মন থেকে,,,
হৃদয়ের অলিগলিতে সদাই এসে দাঁড়ায়
ভিখারী বানাতে,,,
কিছু স্মৃতি নিয়ে আসে সাগর অতল হতে,,
কিছু ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে ভাসায়
পাতাল থেকে,,
শুকনো পাতার বিপরীত মুখী প্রতিরোধে
পলায়ন করে বাতাস আক্রমন থেকে,,
পুরুনো প্রেম এভাবেই বাঁচে
বাঁচিয়ে রাখে নিজেকে।


৩)
বলে দিলেই কি মুছে ফেলা যায়
কলমের দাগ,,,
সাদা কাগজ হতে?
আকাশ আর মনের এখানেই তফাৎ,,,!
কয়টি পাখি উড়ে,,কয়টি উড়োজাহাজ
চলে যায় আকাশ বুক ছিড়ে
তার কথা কার বা কতদিন মনে থাকে,,,?


কিন্তু মনের সামান্য চিরকুট চিত্র গগনে
একবার করে যে উড়াউড়ি
তার সামান্য পিপিলিকা নাম মুছা
কেয়ামত কামনা।
স্বহস্তে বিধাতার স্থলে অসুর ভাবনা।


৪)


আমার ঘুমিয়ে থাকা পোকা
ঘুমে থাক সদা বিছানার নিচে,,,
উতালা পাতাল আগুন নিয়ে বুকে,,।
তোর হৃদে লাভানল ব্যথা,,
মুখ থেকে পড়ে যাওয়া যাবে না তাই
সামান্য কথা,,!
তাই নিয়েই ভাবাস কেন
জাগিয়ে রেখে সারা রাতি,,,
তুই ঘুমা বা নাই ঘুমা,,
একটু নিভাতে দে না বাতি।


৫)


আঘাত করতে পারো
যত আঘাত এর স্রোত আছে মনে,,,
রক্তাক্ত করতে পারো
কারবালা, কুরুক্ষেত্র,,অস্ত্র নিয়ে হাতে,,
যত হিংস্বা বিদ্বেষ লুকিয়ে রাখো বুকে,,,
আমাকে ফেলে তাতে
দেখে নিত পারো মহাসুখে,,,।
আমার ছোঁয়াতে কে পুঁড়ে
আমি না
অনলে?


৬)
যেথায় আমি থাকি,,,যেমন আমি থাকি,,
তুমি আমার মাটির বল হয়ে
রবে আমারই সাথে,,,
আমার বাতাসের গায়ে লিখা
থাকবে তোমার নাম,,
আমার চোখের ভাষায় তোমার চোখ,,
আমার বুকের উপরে
শিব ত্রিশুলের চিহ্নে তোমার সাধনা,,
আমি স্বর্গে যাই আর নরকে যাই,,
তোমাকে ছাড়া কিছুই চাইব না।


৭)
সেদিনের কথা তোমার মনে নেই
মনে আছে আমার গায়ের সমস্ত লোমের।
বলেছিলে তুমি খুব পাহাড়ের চুড়
খুব বিত্তশালী অর্থে বিত্তে,,


আর আজ তুমি কত ফকির
ভালবাসার দুয়ারে,,,
ও,,, ও,,, মেয়ে,,,শুনো প্রাণ ভরে
আজো আমি ভালবাসি তোমারে।
ঝরে যাক না ফুল  তোমার
অন্য কোন চিঠির খামের ভেতরে!
চিঠির উপর ঠিকানা যে লিখেছ
ভুলে,,,
আমার নামে,,,অনুভবে অনুভবে।


এ জীবনে চলে যাক ভুলে,,
কিন্তু ভুলে যাব না এ জীবনে
পর জীবনে।


৮)


কিছু স্বপ্ন দেখতাম,,তোমাকে নিয়ে
কোন অজানা জঙ্গলে গেছি চলে,,
তুমি আমার সাহারা,, আর আমি তোমার,,
খুব ইচ্ছে করে সারা রাত
জেগে আছি তোমার আশে পাশে,,,


তবে তোমাকে নিয়ে সেখান থেকে
কোন দিন আর ফিরি নি,,,।
জঙ্গল টাকেও কভু
দালানের জঙ্গলের কথা বলি নি।
বলি নি বাতির নিচে অন্ধকার শহরে
কেমনে মানুষ মরে মরে বাঁচে।
অসভ্যতার পোশাক পড়ছে সভ্যতার নামে,,
জবাইও করছে হালাল
কেচ্ছা কাহিনীর তলোয়ারে।


৯)
জানি তুমি আমাকে কভু বলবে না,,
রুদ্র আমাকে নিয়ে চলো,
তোমার পাশে বসার আসনে,,,।
কভু আমার মাথায় ঢালবে না গঙ্গা জল,,
কিবা বিশুদ্ধ গরম হাওয়া,,
তবু তোমার নামেই কেন
আমার শত কোটি পবিত্র রাত
হারাম করে দেওয়া।


১০)
ঈশ্বর ঈয়াবা খেয়ে সংসার চালায়,,?
কি জানি।
যার বুক তারে তা না দিয়ে,,
সুখের প্রেম শোকেতে ডুবায়।
সে মদন নামে বদন খানি ই
করে সার,,।
অন্তরের ক্ষুধা
তার বুঝা হয়নি এখনো ক্ষুরধার।
মদন ভষ্মই গৌরিবিলাসীর অভিসার।
হায় প্রেম, হায় হৃদয়ের বাঁশঝাড়!!


##########
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১৫/০২/১৮