১)


রহিম চাচার বাড়ির পাশে
ভুত পেত্নীর বাড়ি।
রহিম চাচা ভুতের সাথে
ঘুমায় দিন রাত্রি।
খোকা যেদিন হবে
ঘোড়ার উপর বসে।
রহিম চাচার ভুতের বাড়ি
দিবে সে পিষে।


ভুত রাজা ভুত রাজা
নিজের দেশে যাও
খোকা এবার রাগ করছে
তোমার প্রান খানি বাচাও।


২)


মোল্লা আসছে চাকু হাতে
গরুর পাছে পাছে।
তাইতো গরু লাথ মারিছে
মোল্লার দাড়ি মুছে।
গরুর বাড়ি মোল্লা ভাইয়ের
রইল দাওয়াত।
শাক রান্ধিছে গরুর বেটি
মোল্লার মাথাত।


মোল্লা ভাই মোল্লা ভাই
চাকু কেনে হাতে
ডাকাত ভেবে সকল শিশু
তোমায় দেখে হাসে।


৩)
কুতকুত কুতকুত করব খেলা
গান গাইব সারাবেলা।
পড়ব বই হাতে নিয়ে
শিয়াল পন্ডিত যা পড়াবে।
মা যদি ডাকেন আবার
আমার নাম ধরে।
পাখি হয়ে উড়ে যাব
মায়ের কোলের পরে।


৪)
শেখের দেশে চাঁদ ছাড়
আর কিছুই না থাকে।
সব কিছুইতেই ভয় ডাকাত
রাতের বেলা আসে।
সিংহ হয়ে ইদুর মিয়া
করে তাং তাং
মশা মাছি হয়ে বাদুর
করে ফাং ফাং।


শেখের দেশ শেখের দেশ
মানুষ তুমি হইও।
টুপির নিচে সাপের বাসা
আর না রাখিও।


৫)
কাকের গলায় বাকের ভাইয়ের
ভাংগা একখান ঢোল
তাইতো কাকা সারা বেলা
করে হট্টগোল।
কাক পাখি কাক পাখি
এবার ঘরে যাও।
খোকা বাবু ভাত খেয়েছে
ঘুমাতে তাকে দাও।
বেলা হলে ডাকতে এসো
কা কা কা সুরে।
মাঠের কোনে খোকা বাবু
খেলতে যেতে পারে।


৬)


বিড়াল বাড়ির বড় বিড়াল
ছোট্ট ছোট্ট গোফ
তাই না দেখে চাচা মিয়ার
মনে বড় দুখ।
চাচা মিয়া চাচা মিয়া
একটু দয়া করো।
কয়েকটা গোফ দাড়ি চাচা
বিড়ালটাকে দিও।


৭)


শাড়ি পড়ে পাগলি মেয়ে
উড়াল দেয় গায়ে
নানান সুরে গান গেয়ে যায়
বাগানে বাগানে।
বাগান মাঝে পরীর বাসা
ছোট্ট একখান ঘর
পাগলি মেয়ের ভয়ে সে ঘর
কাপে তর তর।


৮)
নাইতে গেলে সাতার কাটব
ভরা পুকুর জলে
কথা বলব মাছের সাথে
ডুব দিয়ে দিয়ে।
মাছ মামার সাথে বসি
মাছের ছবি আঁকবো,
কানে কানে ভুতের কথা
মাছের কাছে বলবো।


ভুত ভাই ভুত ভাই
মাছের দেশে যেও
বড় বড় মাছ খানি
ঘরে এনে দিও।


৯)
শাড়ি পড়ে পাগলি মেয়ে
উড়াল দেয় গায়ে
নানান সুরে গান গেয়ে যায়
বাগানে বাগানে।
বাগান মাঝে পরীর বাসা
ছোট্ট একখান ঘর
পাগলি মেয়ের ভয়ে সে ঘর
কাপে তর তর।