১)


নাম্বার
-----রুবেল চন্দ্র দাস------


এসো আজ তোমার চুল গুলি বেঁধে দেই,,,,
বেণী সাজিয়ে দেই
সেই চাঁদনী রাতে ছাদের উপরে
সর্প খেলার মত।
ওই দেখ কতদিন ধরে মোবাইল ফোনটার বুকে
তোমার নাম্বারটাই ডায়াল করি নি,,,
ভুলেও গেছি বেশ?
কি জানি তোমার নাম্বার টা?


যাকগে যখন নখের উপর লাল রঙের নেলপালিশ
লাগিয়ে দিব,,তখন না হয় তুমি বলিও,,
লাল মুখে লাল চোখ রেখে।
যখন কানের ছিদ্র পথে হোট করেই
বর্শার মত গেথে দিব স্বর্ণকমল,,,
তখন না হয় ব্যথায় ব্যথায় বলিও,,
বলিও যখন তোমার গলার উপরে
পরিয়ে দিব সেই কবেকার মত কোন পুতির মালা,,,
তখন লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে না হয় বলে দিও,,
এই যা,,কখনো নাম্বারটা বলবো না,,
বলেই শুরু করে দিও,,,জিরো জিরো..
বলবে কি লিসা,,,বলবে কী নাম্বারটা কত তোমার?
দেখ ভুলে যাবার নয়,,,এটা প্রতিজ্ঞা ছিল,,,
তবু ভুলেছিলাম,,,যজ্ঞ করে আড়ম্বরে ভুলেছিলাম,,,
তুমিই বলেছিলে ভুলতে,,, সাদরে সাদা করে দিতে
সব ডিজিটের সব নাম্বার,,,,
ডিলিট করে দিতে মোবাইলের ইনবক্স হতে ফোনবক্স
দিয়েছি তো,,,লিসা আমি দিয়েছিতো,,,
রক্তজবা ফুলের পাপড়িতে সাদা গোলাপের ঘর বানিয়েছিতো,,,
কিন্তু তবুও কি তুমি রাঙা রাখতে পেরেছ আসমান,,,?
পারো নিতো,,,,,!
ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরতে না ঘুরতেই ফিরে এলে
পিতৃ-আলয়ে পরদেশি হয়ে,,,
ডিজিট মুছে ফেলার মত মুছে ফেলে দিলে সিঁদুর
কাশবনের মত শাঁখা দিয়ে এলে শ্মশান পরে,,,
আর আমি অসহায় হয়ে এক পরনারীর গলে
নিত্যই মঙ্গল সূত্র হয়ে ঝুলি,,,তোমারেই ভেবে ভেবে।
তবু নাম্বারটা ভুলার অধিকার
ফিরে পেতে চায় মন বারে বারে।


২)
আমার সাথে তোমার আর দেখা হয় না,,,,
মাছের সাথে হয়,সবজির সাথে হয়,,
ফেরিওয়ালার সাথে হয়,,,
গোপনে হয় প্রকাশ্যে হয়,,
দিনে হয় রাত নিশিথে হয়,,
জোরে হয়,,ধীরে হয়,,,।
পালোয়ান থেকে রুগ্নদের সাথে দেখা হয়,,
মিষ্টির ভাণ্ডার হতে মরিচ ঝোলের সাথে হয়,,,
তবু তোমার সাথে হয় না,,,
কারন তোমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আর
আমি আমার চোখ
খুলিই না।


৩)


## আমার এক দাদার এক শব্দ থেকে লেখা##


আমি তাকে নাম দিয়েছি,,,, শর্মিলা,,,
সে বলল,এ আর কেমন নাম?
তুমি আমাকে লজ্জাবতী নাম দাও।
আমি সংবিধান খোলে বসলাম,,
জাতিসংঘের সংবিধান,,।
না না তার নাম কোন ভাবেই লজ্জাবতী হতে পারে না।
বরং এই নামের কোন অর্থই তার মাঝে যে নেই
তা জন্ম নিয়েই শিশু বলছে,,,
শ্মশানে যে চলে যাচ্ছে,, সেও লিখে যাচ্ছে চিরকুট।
তাই আমি বলে কয়ে,,নিরলে নিয়ে বললাম
তোমার নাম,,দিলেবালা।
দিলেবালা? এ কি নাম? কী অদ্ভুত? এ কি কেউ শুনেছে?
এ কি কেউ বুঝেছে?
আমি বললাম হ্যা সবাই এ জেনেছে,দেখেছে, বুঝেছে,,।
শীতের সকাল সূর্যের তাপের সাথে ডলাডলি করে মেনেছে,,
চৈত্রের মাঠ আকাশের সাথে বৃষ্টির সন্ধি করে বুঝেছে,,
বর্ষার বাদল,,,কদম ফুলের পাপড়ি ছুয়ে জেনেছে,,
অগ্রাহণের ধানের কচি চারা,,,কৃষকের চোখ দেখেই জেনে গেছে
আর ফাগুন কোকিলের সুর শুনেই চিনে গেছে
নেতা ভোটের হিসেবে গদি পেয়ে মুচকি হাসিতে বলেছে
আর উপরাল্লা,,,,গুনগান শুনেই দু পা তুলে নেচেছে।


নামটির অর্থ এভাবেই জগৎ শুধুই বুঝেছে।
মন দিয়ে দিয়ে জেনেছে,,,
ভ্রমর মুখে ফুলের বন্দনা যেভাবে রটেছে।