১)
মাঠ ভরিয়া ধান পাকিছে
সুনারু গায়ের পাশে।
জল ভরিয়া মাছ নাচিছে
নদী নালা খালে।
মেঘ সাজিছে মেঘ নেমেছে
উঠান বুকের পরে
কাঠ বিড়ালী লেজ তুলিয়া
লুকায় বাঁশেরঝারে।


২)
সাঁতার কাটি সাঁতার কাটি
হাওর বুকের জলে।
ঢেঊ ভাঙ্গিয়া শাপলা তুলি
ভোরের হাওয়ায় দোলে।
শাপলা নিয়ে যাব মোরা
সবার বাড়ি বাড়ি,,
মালা গেথে শাপলা ডাটায়
নিব গলায় পরি।


৩)
রাত হলেই শিয়াল সাহেব
বড় করে ডাকে,,,
দিনের বেলা কিসের ভয়ে
লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে।
শিয়াল সাহেব শিয়াল সাহেব
ঘুমাতে তুমি যাও,,
রাত পোহালেই লেজ নাড়িয়া
শ্বশুর বাড়ি যাও।


৪)
বাদলা দিনে পুকুর পাড়ে
ব্যাঙের বিশাল হাট,,
নানান রবে নানান ভাবে
তারা সবাই সম্রাট।
পাশের পথে সাপের বাড়ি
পেটে তাদের ভোগ।
তাই জানিয়া সকল ব্যাঙে
পানিতে দিছে ডুব।


জলের ব্যাঙ, জলের ব্যাঙ
জলেই তুমি থাকো।
ডাঙায় আসি এমন করে
আর ডাকিও নাকো।


৫)
ঘুড়ি পিছে ময়ূর লেজ
উড়ছে আকাশ ভরে,,
নানীর হাতে পিঠা খাবে
ঘরে খোকা গিয়ে।
নানা গেছেন হাট বাজারে
আনতে রুই মাছ।
মা বলেছেন খাবার খেতে
করো নাকো লাজ।


৬)
নদীর ঘাটে নৌকা বাধা
জলের মাঝে বধু।
ঘোমটা দিয়ে ডুব দিলো
দেখলো শুধু মধু।
মধু দাদা মধু দাদা
চান্দের দেশে যাইও,,
বঊয়ের বাপ চান ঠাকুর
তারে খবর দিও,,,


খবর দিও বধু রানী
পরীর পাখা লয়ে,,
ভুল করিয়া নাইতে এলো
খোয়াই নদীর জলে।


৭)
পুতুল কন্যার বিয়ে দিব
সানাই এর সুর দিয়ে।
পুতুল বরের মাথায় মুকুট
করবে সে যে বিয়ে।
আকাশ থেকে তারা আনব
সাগর থেকে পানি।
বেদের মেয়ে নাচবে হেথায়
এ খবরটা জানি।