১)
সকাল বেলার সকাল পাখি
আওয়াজ তুলে ডাকো।
কিচির মিচির সুরে একটু
ভোরের ছবি আঁকো।
কলা দিব বিস্কিট দিব
দিব মায়ের আদর।
সদা থেকো খোকার সাথে
কভু হইও নাকো পর।


২)


পথের উপর পাথর মিয়া
ইট পাথর ভাঙ্গে।
ঘরে তার সোনা বিবি
চিড়া মুড়ি ভাজে।
তাদের আছে ছোট্ট মিনি
পুটলি তার নাম,,,
পাথর মিয়া দেখলেই বলে
বাবা কোলে উঠিতাম।


৩)


শীতে কাঁপছে ময়না টিয়া
উঠান কোনে বসে।
পূবের দিকে হলুদ সুরুয
মিনমিনিয়ে হাসে।
ঘরে ডাকছে মাসি পিসি
গরম জল খেতে।
আদর করে বাবা বলছে
যেতে বিছানাতে।


৪)
ডাক্তার সাহেব ডাক্তার সাহেব
মোদের বাড়ি আইও।
সবুজ বাবুর জ্বর উঠেছে
ওষুধ খেতে দিও।
তোমার লাগি মাছের মাথা
রাধছে আমার মায়।
মজা করে গফাস করে
খাবো দুজনায়।


৫)


ঢং ঢঙ্গা ঢং জানের বাড়ি
ঘরাৎ ঘরাৎ বাজে।
আজ বাদে কাল আবার
মনষা পুজা হবে।
সকাল সকাল খোকার দল
বাড়ি বাড়ি যাবে।
কোল করতাল জান বাজায়ে
ঘুম খানি ভাঙ্গাবে।
জবা ফুল জবা ফুল
তুমি ফুইটো বেশি বেশি।
পুজার লাগি সকল খোকা
হাতে নিছে ফুল সাজি।
( এই ছড়াতে হবিগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা আছে।মনষা পুজার পরিপ্রেক্ষিতে লেখা।)