১)
তুই ছুটে যাচ্ছিস মাঠে,,
ওই আলোর ঘ্রাণে পাগল হয়ে,,
আস্ত কাঁচি হাতে লয়ে,,
আর আমি যাচ্ছি সেই ঘরে,
যে ঘরেতে আলোর বিদায় হচ্ছে
ঘটা করে,,,
অন্ধকারে শরীর ভেজাই বারবার
স্নান করে,,
চোখের উপর সিল মেরে লিখে রাখি,,
আহা ঘুম! আহা ঘুম।  
যদিও ঘুমের চাকরিটি আজো পেলাম নারে।


২)


এমন কন্ঠে যে পদ্মপাতার তলে জল খেলা হয়,,,
তা কি দেবতাগণ কভু বুঝেছেন?
নাকি সুশোভিত হয়ে স্বর্ণালংকার গায়ে,,
কভু জানতেই পারেন নি,,
কতটা মাটির তলায় জন্ম নিতে হয়
সোনা রূপা,হীরাকে!
কতটা অন্ধকারে কাটাতে হয় জীবন,,,
অথচ হঠাৎ করে একদিন সূর্য দেখা,,,
আর সেদিন থেকেই দেবতাদের গায়ে
দেবাতার হয়ে ঝুলাঝুলি খেলা।
হায়রে খেলা!!জীবন খেলা!!


৩)
যদি কেউ ঢুকে পড়ে কাঁচের ঘরে
ছিদ্রহীন পথে,,,
সে নিক স্বাদ বাসর লক্ষ্মীন্দরের,,,,
হোক সে হাজত বাসী যাবত জীবনের,,
শিকল দিয়ে বাধা হোক চরণ,,
মনে মনে যদি মনের হয়ে যায় বরণ।
স্মৃতির আসনে করে নিও সদাই উপনয়ন।


৪)
তোমায় ছেড়ে আর যাব কোন স্বর্গে ?
নর্তকীদের স্থান স্বর্গে হলেও
বেশ্যাদের স্থান হয় না।
এই যে পাহাড় সম ব্যবধান, অবিচার
ঈশ্বর আর মানুষে,,
তাকে সমতল ভুমিতে নামিয়ে
নিয়ে আসাই যে আমার প্রেম,,,
আমার অভিষ্পা,,
ঠিক তোমার চোখের নজরের মত,,,
যা এঁকে দিচ্ছ কলমে,,
গল্পের দেহে,,,
আমার প্রতি অনুরণনে।


৫)
তারা খসার গল্প বলব,,
একটু কাছে আসবি সাথী!!!
ওই যে মাঠ,,পথ,, উঠানে পড়েছিল খসে কিছু
আমার মন হতে,,তোর নামে।
ঠিক সেই গল্পটা।


জানি তোর ভালো লাগবে না।
অসহ্য লাগবে!!
পুরুনো তোয়ালেতে কে মুখ মুছে বল!!
তবু একটু আসিস,,,
হাওরে জল আসার সময় হয়ে গেছে,,
ব্যাঙ ডাকার কাল যে এখন,,,,,