১)


পান খাবে?
চুন দিব না, দিব্যি বলেছি।
কত চুন তো তোমার মুখের ভেতরেই আছে
নিয়ে নিও সেখান থেকে
জর্দা যদি চাও
তাহলে চোখের দিকে তাকাও
নেশা কাকে বলে বুঝে যাবে।


২)
আমার পুস্তক টা, সারাক্ষণ জ্ঞানি হয়ে বসে আছে
কত থাকে বলেছি,,,যাও মাঠে যাও
মাটির গর্ভ ব্যথা শিখো,,,
যাও খালে বিলে যাও
বুকে জল ধরে রাখা শিখো,,।
এমনকি।বলেছিলাম।নির্জনে একটু
বটতলায় যাও,,,,বাঁশী বাজানো শিখো।


কিন্তু না,,লাইব্রেরী ছেড়ে সে কোথায়ও গেলে না,,,
জানালো লাইব্রেরী থেকে মাটির গন্ধ
অনেকনেক দূর,অনেক!!!


৩)


কবিতা,,,আমার এক হাড়ি তালের রস
আমি পান করি তা,,একটু মাতাল হতে
একটু খানি অসসভ্য হতে
চিনির দোকানের নুন
আর পাথরের দোকানের চশমা চিনতে।


৪) ( সাহিত্যিক মন না থাকলে নিচের কবিতা পড়বেন না)


নারীর গায়ের গন্ধ যখন আমার নাকে লাগে
কই তখন তো আমি কোন স্তন কিবা
যোনীপথের গন্ধ পাইনি।
কখনো মনেই হয় না,,,,
কত কোমল বালিশ হাত খানি তার।
কেন?
আমি কি পুরুষ নই?
আমার শুক্রানূ কি ডিম্বানু চায় না?
নাকি আমি সাধক?
ভ্রহ্মচারী,,,?


না না না,,আমি কিছুই নই
স্ত্রী ভিন্ন এই দুনিয়ায় সমস্ত স্তনই
আমার মায়ের বুকের চিত্রসঞ্চারী।


৫)


ভয়,সেতো দূরের দ্বীপ দেশ হতে আসেনা এখানে,,
কচ্ছপের মত হেটে,,,,
বরং
আমার হাড়িতে তার রান্না হয়,,,,নানান আয়োজনে।
কখনো যতনে আবার কখনো অবচেতনে,,,
ভয় সেতো প্রতিবেশিনী নয়
আমার বালিশের নিচেই সে শুয়ে থাকে,,
আমার ঠাকুরের আসনে সে ঘুমিয়ে থাকে
থাকে কখনো পাঠশালার বারান্দায়
কিবা আরশি ভাবনায়.....।


আমি তাকে তালাক দিয়েছিলাম
সেও আমাকে তালাক দিয়েছে,,,
তবে উপহার দিয়ে গেছে এক রাজ্য
যেখানে আমিই হলাম ভয় আমার জন্য।