১)


মৃত্যু,,,
কী তুমি আর করতে পারবে?
শ্মশানের ছাই নয়তো কবরে মাটি!!
তো..?
এর চেয়ে কি আর করবে মিথ্যুক যুধিষ্ঠির?
ছলনা করে হরতে পারবে হারাতে
এই অশ্বত্থামা দেহ,,।
কিন্তু আমি বেঁচে রব,,তোমার চোখের সম্মুখে
সমস্ত বাতাস জুড়ে,,,
আমি বেঁচে রব তোমার উঠান পরেই
সকল অনুভব জুড়ে,,,।
আমাকে হ্যা হ্যা আমাকে কোলে নিয়েই ঘুমাবে হাজার প্রেমিকা,,,
আমার জন্যেই নিত্য প্রার্থনায় বসবে কোন না কোন ভাই বোন।
আমার জন্যেই আঁচল পেতে ডাক দিবে,,,যে কোন মা
খোকা আয়,,, আয় খোকা।
আমার জন্যেই বাজারের ব্যাগ ভুলে ঘরে ফিরবে কোন না কোন বাবা,,,
অনুভুতি যে আমি
আর আমার কবিতা।,,,


২)


আসব একদিন,,
তোদের সাথে,,,তোদের কাছে
সেদিন জমানো দিনের না লেখা পাতা গুলি দিব খোলে,
লিখে নিব মিলেমিশে অনেক রঙের অনেক কথা,,,
না দেখা ছবি গুলি তোরা দেখাবি এঁকে,,,
শুনাবি পাতা ঝরা হতে পল্লবের গান,,
শুনাব দিন শেষে বাড়ি ফেরাই হল সূর্যের সন্ধান।


৩)
কথা হচ্ছে আমার তার সাথে
যে চলে গেছে ধরার দেয়াল পেরিয়ে।
চলে গেছে চোখের অলক্ষ্যে
স্মৃতির প্রাসদে,,
তার সাথেই কথা বলছি দুর্নিবার।


জানাচ্ছে সে আমায়
এখন সে আছে বেশ।
মায়া নামের চাকুতে বলি হয় না আর,,,
সুখ নামের ক্যান্সারে মারা যায় না বার বার।
এখন তার চোখের কোনে জল গুলি অপরাজিতা,,,
বুকের কম্পন স্বাধীনচেতা।
এখন সে জলে স্থলে অনলে
এখন সে এখানে সেখানে যেকোন খানে,,
এখন সে অনুমতি নেয় না
সেই মেয়েটির দরজা ভাঙ্গতে।
এখন সে ইচ্ছেমতই চুমুক দেয়
সাজানো সকল সুরার পেয়ালেতে।


৪)


তোমরা যারা আমার মরণ পরে
পড়ছ কবিতাগুলি রেখে হাতের পরে,,,
জেনো রেখো আমি লিখেছিলাম
তা কোন এক দিনের আধারে ঘরে,,,
রাতের আলোর হাত ধরে,,,
তোমাদের দাদা,কিবা দিদি
ডেকে কাছে বসব বলে,,,!
ভাই কিবা বোন ডেকে
বাতাসের স্বাদ হৃদয়ে পাব বলে।
আমি লিখেছি
মায়ের সন্তান হব বলে,,
বাবার শাসন বারণ পাব বলে।
আমি লিখেছি,,
তোমাদের কোন একজন হব বলে


৫)
সিগারেট নেশায় নীল যে প্রিয়
তোমার ঠোট,,সেথায় আমি দিব না
আমার চোখের জল,,
যে বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুনো
পাশের বাড়ির রজনীগন্ধ্যার কান্না,,,
সেথায় দিব না,, না না দিব না
আমার আঁচল পাতি,,
যখন কেঁদে উঠো খুশিতে যেতে তীর্থ পথে
কোন এক দেবীর কাছে,,,
আমি কভু সেথায়
আমার সতীন দৃষ্টি ভিন্ন;
সুনজর,,
কভু, কভুই দিব না ,,


৬)


নয়ন,,তোকে নেনে বলি,
আখিয়া বলি ওর যাহাই বলি
তুই শুনেগা মেরে বাথ?
যা তোকে আদর করে আই সোনা বলে ডাকলাম,,,
প্লিজ দয়া করে বলবি,,,তুই তা দেখছিস,,
আজ আমি যা দেখছি,,,?
ও ও ভুলে গেছিস বোধ হয় তুই,,,!
সেদিন বর্ষাহীন বাদলের দিনে তুই,,
হ্যা হ্যা তুই ; তুই তাকে দেখিয়েছিলি আমাকে,,,
যার বুকে আমার ঠিক ঠিকানা লিখা ছিল
বিধাতার হাতে,,,
তারপর হতে,,,কি না তুই দেখালি।
আকাশের উড়ন্ত কাশফুল মেঘ,,
নদীর আঁকাবাকা পথ
নানানা লুকানো গোপন শপথ,,,
তুই দেখালি কুমারী মধ্যবয়সী রাত,
দেখালি নানান আপনজন দুষমন,,
দেখালি মালির হাতেই কাচি কুন্তির ব্যবহার,,,
তারপর দেখালি এক সাথেই বেড়ে উঠা দুটি শাখা
হঠাৎ দুদিকে,,,,দু আসমান ব্যবধানে!
দেখালি কেউ ফুল বেঁচে আর কেউ কিনে!
আর কত্ত কি!!!  কত্ত কি যে দেখালি
কভু মদন রোগে, কভু চণ্ডাল উপভোগে
কভু সুখে কভু মহাঅসুখে!!!
শ্মশানের অগ্নির উনুনের রূপটাও দেখালি
যেমনি দেখালি উনুনের আগুন শ্মশানে!!!


আই,,,প্লিজ বলনা,
বল,আমার বুকে চোখ রেখে বল,,
এই ধুসর শুভ্র তুষারের বিধবা আয়োজনে
দেখছিস কি তাকে,,,
বল,, বল নেনে,,বল মেরা আখিয়া
বল মেরে দৃষ্টি,,, ওরে  ওরে ওরে
শুনরে আমি কেন দেখছি তারে বারে বারে,,,
ওরে মেরা নেনা,,আর কত না দেখে
থাকবি তুই তারে,,?
যারে তুই ই পেহেলা দেখেছিলি
যেমন করে আজও দেখি আমি তারে
অন্তরে অন্তরে নজরে নজরে।


তুই পাষাণ হলেও
বল আমি পাষাণ হই কেমনে?


######$$########
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১১/১২/১৭