নিধি,আজ তোমাকেই লিখছি,,,
লিখার মত কোন ঠিকানা নেই যে এখানে!
কলমের ভেতর কালি টা আকুপাকু করে খুব
কিন্তু সাদা পাতা কোথায়
যে লিখব কিছু?
তাই তোমাকে শব্দের পত্র পাঠালাম
হে ভগবান
কাল থেকে তুমি ফোটাইও না কোন ফুল
কোন তরঙ্গ জলে মিশিয়ে দিও না জোতস্না,,,
লুকিয়ে থাকা আধার থেকে রাতের জ্বানালার ওপাশে
মিটমিট তারাগুলো দিয়ে বলাইও না এত কথা।
ভুলে যাওয়া কোন এক গ্রাম, কোন এক পুকুর পাড়
পাঠাইও না আমার দরজা ভাঙ্গতে বার বার,,
দিও না বিছানায় তড়িৎ আগুন ঢেলে
অসহ্য পানির কলে রেখো না আর কোন পানি
এত বেগে!!


শুকিয়ে যাক সব,শুকিয়ে যাক সাগর
কোন কচি সবুজ ঘাসের জন্ম না হোক  
দরজার সম্মুখে,,,
খরার আগুনে দগ্ধ হোক বসন্ত মন্দিরের উঠান,,,
নারায়ণ পাশে তুলসী পাতা চলে যাক পোকার উদরে,,,
ঘি দিয়ে অশ্বমেধ যজ্ঞে আহুতি হোক অসুরের,,,
জোয়ারের মুখে লাগুক চুনকালি
সবচেয়ে সুন্দর স্থানটি হয়ে যাক ধ্বংস
জেগে উঠুক আরব ভুমি,,
পঞ্চশরে বিদ্ধ হয়ে পাঞ্চালী সুখী হোক দু:শাসনে,,
বোরখা জেলে গণিমতি হোক সকল চাঁদ
তবু ডেকে তুলে ঘুম থেকে
মোর হাতে দিও না আর বিষাদ।


দিও না হাতে তুলে সেই দিনের
গল্পের পাণ্ডুলিপি
যা ফেলে এসে কোন এক শ্মশানে
বেশ ভালো আছি!!!
বেশ আছি ভুলে সব পুরুনো হালাল ভুল
তবু জল ছোঁয়ার কৃষ্ণ রোগ
জাগাইও না আর
চর্ম উপরে,,,


শ্মশান পাড়ে বাস করে
হাসির গান
কে কবে গাইতে পারে?


#####################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৩/১১/১৭