সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার,আমার প্রিয় কবির জন্মবার।আমি বলেছিলাম তার স্পর্শ কাব্যগ্রন্থ খানি পড়ব,,,তখন তুমি বাজার থেকে কিনে তোমার সবচেয়ে প্রিয়নেশার ফল আম চেপে চেপে খাচ্ছিলে,,কিন্তু আমার কথা শুনে ধুম করে ফেলে দিলে তা সিগারেটের শেষাংশের মত,,,
ধোয়ার তালে উড়ে গেলে নীলক্ষেত হতে কোন অজানা অচেনা স্থানে,,,
ক্ষণিক বাদেই আমড়ার উপর লবণ স্বাদে হনুমানের  মত হোট করেই এসে দাঁড়ালে সম্মুখে,,,
ও মা একি হাতে তোমার সেই বই,,,
"স্পর্শ"
স্পর্শ করলাম আমি তাকে,,,বইটাকে
হ্যা হ্যা বইটাকে,,কিছুটা হাতের ছুঁয়ায়
বুঝেছিলাম কারো ব্রেসলেটে আটকে যাচ্ছিলোই আমার সাধের অঙ্গুটি।"তড়িঘড়ি করেই বললাম,,চা খাব,,,শরীর গরম করব" লাল টকটকে চা! সঙ্গে  এই লঙ্কা ঝাল দিয়ে গরম গরম সিঙ্গারা,,।
বৃষ্টির দিন,,, হাতে করে ছাতা নিয়ে আসতে ভুলে ছিলে,,,কিন্তু দেহত ছিল তাই ভিজতে দাও নি সেদিন গরম গরম সিঙ্গারাকে,,।
তাই গরম গরম করেই আমি খাচ্ছিলাম,,খুব মজা করেই,,।ভাবছিলাম,, ইস পথে কোথায় বসে লুকিয়ে যদি সিঙ্গারাটার উপরে একটু ঠোটের লালা মিশিয়ে দিতে,,,,
বোকা কোথাকার"! একটু কামড় দিতে পারলে না?
আস্ত সিঙ্গারা পুরুষের হাত হতে নারী কভু খায়?
একটু খেয়েও দিতে পারলে না,,চুরি করে।
আমি সেই খাওয়া অংশেই স্পর্শ করতাম তোমাকে,,,
কিন্তু না তা সেদিন হয়নি,,
হবেই বা কেমন করে,,,আমি যে তোমাকে বলেছিলাম বাড়ি চলে যাও,,,শাসনের লাল চোখে কিছুটা ধমকের সুরে,,।
তুমি চলে গেলে,,,সত্যি চলে গেলে!"!
লাল শাকের মত সতেজ গরম গরম লাল চা টা না খেয়েই চলে গেলে,,,যাবার সময় বলে গেলে,,
এ কাপটিও তুমি খেয়ে নিও।
বোকা বলদ আমার!! জানলেই না লাল চা লাল কাপে লাল ঠোটে একা কেউ খায় না!
বুঝলেই না নারীর নিষেধ এর মাঝে আরতির এক বার্তা থাকে,,,নরম হাতের সন্দেশ থাকে,,,
যাক গে তুমি না হয় বুঝনিগো,,কিন্তু আমি!!
আমার তো বুঝা উচিত ছিলো,,,
ছাতা হীন মাথায় কেমনে ফিরবে ঘরে?
না হই আমি একেলা আমার আলয়ে মধ্য দুপুরে
তবুও কি তোমার তরে কোন শুকনো তোয়ালে
আর কর্ণ হীন কক্ষ ছিলো না?অবশ্যই ছিলো,,আলমারির ভেতর বোতল তারপর বোতলের ভেতর চালতার আচারের মত চোখ বন্ধ করা কোন এক কক্ষ ছিলো!
সেই কক্ষ থেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি
কতটা সৌভাগ্যবতী সোহাগি বৃষ্টি
নির্লজ্জের মত যেখানে খুশি সেখানেই তোমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে,,,,,,
স্পর্শ হ্যা গো স্পর্শ কাব্যগ্রন্থটি পড়ছে,,।
আর আমি কিনা,,মলাট বাধা কয়েক টা কাগজের উপর লেখা স্পর্শ শব্দটিকেই কেবলি স্পর্শ করে যাচ্ছি,,,


কী পাগল আমি,,!
তাই ভাবলাম পাগলামি টা আরো ইচ্ছে মতই করি"
যে ঘাট নারীর হা তে না,,আর না তে হা বুঝে না
সে ঘাটে আমার বন্দরের সমস্ত মালামালের আদান প্রদান আরো হোক,,,শাস্তি হোক তার! চরম শাস্তি!


হয়েছেও তাই,,
ভোর হতে দেরী হয়েছে,,,ফুল ফুটতে নয়।
আমার চোখ মেলতে দেরী হয়েছে কিন্তু দেখতে নয়,,,
কে যেন ক্ষুধার আগেই মুখে তুলে দিয়েছে পুষ্প,,
কিন্তু আজ?
আজ তিন দিন ধরে একশ আট টি নয়,,,
একটি স্থলপদ্ম চেয়েছি,,শীতের দুপুরে,,
কৃষ্ণের চরণ স্পর্শ করে দিব বলে!
আর অমনি
নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জবাব দিলে,,,


এই ভাবে ভালবাসা হয়না প্রিয় দুজনে,,
এক দেশে আঁধার থাকুক
আরেক দেশ থাকুক না আলোতে ডুবে।
#########################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১২/১২/১৭