একটি ভ্রমর ,,আরেকটি ফুলের সাথে শুইবে না
সে শুইবে অন্য কিছুর সাথে,,,
তার ফুল ভালো লাগে না,,,জল ভালো লাগে
তার ভ্রমরের সাথে ভ্রমর খেলা খুব ভালো লাগে।
ইচ্ছে করে সারাদিন ভ্রমরের সাথেই
কাটিয়ে দিতে নানান ভাবে।
ইচ্ছে করে তার মুখে যে লাল রং আছে
তা ঢেলে দিতে তার ভালো লাগা ভ্রমরেরি গায়ে।
কিন্তু তা কি হয়?
তা কীভাভে মেনে নিবে ফুলের দল।


কীভাবে তারা ভ্রমর ছাড়া থাকবে একাকী?
এমন সময় কিছু ফুল বলল,,,
আমাদেরও লাগে না ভালো ,,ভ্রমরের ঢলাঢলি।
আমরা ফুলে ফুলে আগুন খেলা খেলতে চাই।
চাই না কোন ভিন্ন কেউ এসে
আমাদের সাথে করে যাক এমন অত্যাচার ।


ওমনি শোনা গেল কোথায় কোন জনপদে
উপর থেকে নাকি বানী এসেছে
ফুলের সাথে বিছানায় শুইতেই হবে
শুয়ে শুয়ে দুনিয়া ফুলময় করে দিতে হবে
ভ্রমরের অতৃপ্ত বাসনায়।
শুইতে হবে মাটির নিচে
শুইতে ঘরের ভিতর সিন্ধুকের ভিতরে
শুইতে হবে বাতাসের মাঝে বাতাসের দেয়ালে।
তা না হলে ,,শুয়াশুয়ি নাকী চলে যাবে
উপরওয়ালার হাত হতে নরকের ঠিকানায়!


এমন যে বানী লিখে ,,পাঠায় দুনিয়ার ঠিকানায়
সে কেমন সৃষ্টি কর্তা তা জানিবার মন চায়।
সৃষ্টি যে করতে পারে না ,,মনের মত
বিধান পাঠিয়ে মনের আবদার জানাতে হয় এত।
সে কি ভ্রমর হয়ে শুইতে চায় ফুলের সাথে?
মনের বিলাস বিলাপ বিধানে না লিখে
ভ্রমরের লিঙ্গে লিঙ্গে যেন লিখে দেয় বাসনা
সত্যিই যদি হয় সে কিছু
ভ্রমরের না শুইয়া ফুলে
অন্য কিছু করিবেই না।