পথ ঘাটে শুতে চিনো!!অথচ জীবন চিনো না।
জানো.. যে পথের উপর শুয়ে আছ,,,
যে ফুটপাতের উপর বসে আছ,,
তার বুকে কত পাথর লুকিয়ে আছে?


জানবে কেমন করে?
ঘুম থেকে উঠলেই তো দেখো,,ডাস্টবিনের পাশে তোমার প্রতিযোগী কুকুর,,
নালার পাশে দূরন্ত কাক,,,,
আর বাতাসের মাঝে সাপের ফিস ফিস শব্দ,,
এ নিয়েই তো জীবন তোমার,,,তাই না?
ওই দেখ রাস্তার পাশেই একটি মজাপুকুরে
একটি ব্যাঙ পেট ফুলাচ্ছে বার বার,,,
গর্ভের পেট,,,।
ঈশ্বরের সহায় দৃষ্টি আছে কিনা,,, দূরে থাক,,
মানুষের দৃষ্টিই যে পুকুরের পরে নেই,,
তারপরেও তাতে এমন গর্ভ গর্ভ খেলা!!
আর তুমি!! তুমিতো এক মানুষের দেহ কেবল!!
দিনের আলোতে তোমাকে কেউ না দেখলেও
রাতের আলোতে তুমি যে কারো কাছে
হীরার সমতুল্য ,,
তা তুমি জেনেও জানো না
আকাশের মেঘ যেমন দালান কিবা কুঁড়েঘর চিনে না,,
তেমনি রাতের অতিথিরা কিছুই বুঝে না সখিনা
কিছুই বুঝে না।
তাদের কাছে রাতটাই এক ঐশ্বরিয়া।


রাতে কতবার নায়িকা সাজো সখিনা?কতবার?
গায়ে ময়লা কাপড়ে, ক্ষুধার্ত উদরে
নায়িকা হতে ভালো লাগে?
চুমুর মাঝে লালার স্বাদে
তুমি ভাতের গন্ধ এড়াতে পারো?
কেউ জড়িয়ে ধরলে বুকের পাজরে,,,
পশমের গন্ধে তুমি
সামান্য ডাল ভাতের আবেদন সরাতে পারো?
পারো কি কারো
ইচ্ছেমত যাচ্ছেতাই কামড়াকামড়িতে
নিজের নাকটাকে বলতে,,,
ওরে থাম, থাম এখানে কোন খাবার নেই,,
আছে খাদ্য হবার এক আজন্ম পাপ!!


পারো সখিনা,,,? পারো,,,?
পাশের বাড়ির দেয়াল ভেদ করে
মানুষের নজর রাস্তার উপর না আসলেও,,,
রান্নাঘরের শব্দ,ঘ্রাণের আক্রমনে
নিজেকে একবার মানুষ ভাবতে,,, পারো?
নাকি মানুষ শব্দটাতেই তোমার যত ভয়,,,
ওই তো মানুষ আসছে,,,
পাশ দিয়ে হন হন করে চলে যাচ্ছে অফিসে,বাসায়,শপিং মলে,,,বিনোদনে,,রাজগদিতে,,,
ওইতো মানুষ ফিরছে,,রাতের অন্ধকারে,,,
ঘরের দেয়ালে,,,ধর্মের   চশমায়,,
ফিরছে ওরা তোমার পাশ দিয়ে"
আসছে ওরা,,যাচ্ছে ওরা তোমার পাশ দিয়ে,,,
কিন্তু তুমি?
তুমি কার পাশ দিয়ে কোথায় যাচ্ছ?
পাশ চিনো?
হা হা,,, চিনবে কেমন করে?
শহরের বাতির আলো যে তোমার পাশে নেই সখিনা,,
বরং তুমি আলোর পাশে
বিশাল বিশাল অট্টালিকার পাশে,,
চার পাঁচটি শিশুর পাশে,, নব নব গর্ভের উদর পাশে।


হা হা সখিনা কারো উদরের পাশে
তোমার উদর না মিললেও,,,
উদর তোমায় গর্ভবতী বানাতে ভুলেনি,,
ভুলেনি এই সভ্যতার পাশে দাঁড় করাতে
ভুলেনি ঈশ্বরকে করুণা করাতে।
পঁচা ভাতের গন্ধ না মিললেও
নীল বীর্য কভু করে নি ক্ষমা তোমাকে,,,