১)
কাঁদবে কেন? তোমার দরজার সামনে ভিখারী  বেশে এসে
রাজা হয়ে অন্দরে প্রবেশ করলাম,,,,
দেখলাম ঘরে তোমার একটা রেল গাড়ি চলে প্রতিদিন,প্রতিক্ষণ।
বিরতীহীন এই গাড়িটির প্রতিটি আসনই যে বরাদ্ধ,,তাও জানো কার জন্যে।
আমার জন্যে।


কারন আসনের গায়ে লিখা আছে,,,ভাইয়ের আসন।স্নেহের আসন।মমতার আসন।আদরের আসন।
বলো এর পরে কি আর কাঁদা যায়?


২)
এই যে ঠিকানাটা শুনো
যদি এই ফেইসবুক না থাকে,,,
তাহলে খোজে পাবে সেথায়,,,
আমি থাকব না জানি সেখানে
কিন্তু সেখানেই আমার ঘর থাকবে,ছায়া থাকবে,মায়া থাকবে,,
আর থাকবে জন্মনাড়ির মাটি।
বিশ্বাস হচ্ছে না,,,,
সেখানে একদিন গিয়ে
রুবেল,রুবেল বলে ডাক দিও,,,
দেখবে একদল শান্তির বাতাস
আমার হয়ে ছোয়ে দিবে তোমার প্রাণ,,,
এ যে একটু খানি ডাক নয় গো দিদি,,,
ভাইয়ের সন্ধানে বোনের আহবান অভিযান।


৩)
অনেকদিন পর তোমার দুয়ারে এলাম,,
এসে দেখি লেখা আছে,,
ভিখারী স্বাগতম,,ভুখা স্বাগতম,,,


অনেক ক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম
না,, না,, না তোমার দেখা পেলাম না,,,
দেখা না পেতে পেতে
যখন পায়ের চিহ্ন রেখে যাব চলে
ঠিক তখনি দেখলাম
তুমি ফিরছ কোথা হতে,,,
একি তোমারও যে ভিখারী বেশ
তুমিও যে ভুখা,,,,
তাহলে তুমিও কি গিয়েছিলে
দুয়ারে দুয়ারে,,,,?
নিজের দুয়ারে এমন লিখিবারে।


৪)
কবিতারর জন্যে বুকের উপরে নিয়েছি হিমালয় তোলে
সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার চুমু গেছি ভুলে।
নিয়েছি আমি শ্মশান জীবন ভোলানাথ চিত্তে
করছি পান হাজার গরল নেচে কবিতার নৃত্তে।


আমি কবিতার জন্যে রাজ্য ছাড়ব
ছাড়ব ওই বেহেস্তের স্বাদ।
আমি কবিতার জন্যে দেবতার মুখে
তুলে দিব বিষাদ।
করবো আমি সাগর শোষণ
করব প্রেম ওই হিংস্র সিংহীর সাথে।
আমি কবিতার জন্যে শর শয্যায়
থাকবো মহা সুখে।
ভিখারীর মত তাড়িয়ে দেব
দুয়ারে আসলে ওই কানাই
কবিতার জন্যে মাতাল হব
যদি কিছু পাই বা না পাই।


কবিতার তরে দাড়াব আমি হিরোশিমার বুকে
সবুজ ঘাস জাগিয়ে দিব সব পারমাণবিকে।
লিখে দিব মধুর বার্তা সর্প দন্ত মাঝে
নরকের দুয়ারে লাথি মেরে খুন করব যমকে।
কবিতার জন্যে হাজার নোবেল ফেলে দেব যজ্ঞে
আমি কবিতার জন্যে মানুষ হব  দেবতার রাজ্যে।