১) রক্ত নেশা


ডাইরির পাতায় রক্তের দাগ,,,
এ যেন মহাকাল ধরে লিখা আসা উপাখ্যান।
নায়িকার  বদল হয়,,,বেশ
নায়কেরও আগমন যেন কল্প কথার কল্পনা।
এর মাঝেই চলে নদীতে জাহাজের পর জাহাজ,,
ঢেউ গুলো উপছে পড়ে পাড়ে।
আর এভাবেই,,,,
কালি সঞ্চারিত হয় দোয়ত ভরে,,,
তবু ডায়রিগুলো লাল রক্ত নেশায়
জাঙ্কি হয়ে পড়ে থাকে সর্বত্র,,
এ নেশা বাচার তরে মরিবার,,,
মরিবার তরে ধ্বংসের,,,
আর
ধ্বংসের তরে প্রেমের।


২)  নয়ন


চোখে যে গ্রন্থাগার সাজিয়ে রেখেছিস যতনে,,,
তার কোনদিনও পাঠক যন্ত্রনা মিটবে না লো পাগলি।
হাজার হাজার দিন রাত সাধনা করে,,,
যদি কোন পাঠক শিষ্য হতে পারে তার,,,
তাহলে নিশ্চিত ব্রহ্মত্ব জ্ঞান লাভ হবে অভাগার,,,।
বুঝে যাবে তপ্ত বালুতে,,,বৃষ্টির আপ্যায়ণ।
বাষ্প রূপে আকাশ বুকে কেন এত জলের মিলন।


বুঝে যাবে কী কথা লেখা থাকে
আত্মার সংবিধানে।
জেনে যাবে নুপুরের আওয়াজ কেন সন্ধ্যা কালে।
জেনেই যাবে যে রাতগভীরে
পঞ্চ পঞ্চীর পঞ্চসুরের আত্মযাপন।
মেনে নিবে এ জীবন কার বা হয় কেমন।


যদি কেউ পড়তে পারে এমন নয়ন।


৩)
আমি যাব সেখানে
যেখানে বন্য হংস হংসীরা
মুক্তির গান গাইছে সমস্বরে,,,
রোদের দেশের বার্তা নিয়ে
পাখিরা নির্ভিক আলয় গড়ছে মুক্তমনে।
আমি যাবই সেখানে,,,
যেখানে সর্প দন্ত এক গোলাপ কাটা,,
হাতির পায়ের তলায় বাঁচিয়ে রাখা হয় পুষ্প।
বাজির পায়ে পায়ে নাচে
যেন এক মুক্ত বিহঙ্গের ডানা,,,,
আগুনের শিখায় বসে পদ্য লয়ে
কবি লিখে তার কবিতা।


আমি যাব এ শহর ছেড়ে
কোন এক বন্য পশুর আস্তানায়,,,
জীবনের স্বপ্ন জানার তরে।
যাবো আমি একলা বিকেলে একলা পায়ে হেটে,,,
প্রতিটা সকাল, প্রতিটা শ্বাস প্রশ্বাসে রেখে।


৪)  গঙ্গা ফড়িং


বোকা গঙ্গা ফড়িং
একদিন সময় করে আসিও,,,,,আমার শ্যাওলা ঘাট পুকুরে।
কিছু কথা আছে তোমার সাথে গোপনে।
সময় নিয়ে শুনো তা,,,,অসময়ের কথা।
কত যে দিন চলে গেল,,,,
বোকা জনম বোকাই রইল,,,,
শ্যাওলা ঘাটের আবার ইট পাকা!!