১)


খোকা ঘুমে আছ বুঝি?
এই দেখ বাইরে একদল পরী ফুল নিয়ে দাড়িয়ে
জ্বানালার পাশে অর্ধ্ব নগ্ন হয়ে।
ওরা আজ তোমার ঘুমের দেশে আসতে চায়
খাটের উপর ঘুম চিহ্ন আঁকতে চায়,,
নিয়ে যেতে চায় ওরা তোমাকে,,,


আমি বলে দিয়েছি,,,
আঠারো বছরের যুবক গো সে
তাকে ক্ষমা করো,,
পান পাতার ছিদ্রই দেখেনি,,,
কীভাবে জানবে গাছ কীভাবে বাচে?
বরং তাকে বলে দিব,,,
সে যেন তার বুকের পশম দিয়ে
চাদর বানিয়ে দেয় তোমাদের,,,
তোমারা চিত্ত সুখে নৃত্য করিও
সেই চাদরের ছোঁয়া পেয়ে।


২)
তোকে আমি আদর করে রাজহংসী বলে ডাকলাম
জলে নেমে সাতার কাটতে পারবিতো,,
আমার বুকে কিন্তু অসীম জলরাশি,,
সেথায় পদ্মফুল আছে আছে কিছু নাগ কিবা নাগিন,,
যদি ছুবল দেয় তোকে,,
বিষের ব্যথায় অমৃত খোজার শক্তি আছেতো?


যদি নাই তাকে তাহলে তোকে আমি
কপোত বলে ডাকলাম,,,
ঘরে আসিস
খাবার সাজানো আছে সর্বস্থানে
প্রসাদ করে দিয়ে যাস তারে,,
আমি অমৃত ভেবে খেয়ে নিব তা
অমরত্বের তরে।


৩)


কি হচ্ছে স্বপ্ন দেখছ বুঝি,,
দেখ দেখ দেখো
প্রাণ ভরে দেখো,,বালিশের উপরে মাথা রেখে


দেখো কোন এক মাঠের কোনে বসে আছি আমি
বাঘিনী হয়ে ছূটে আসছ তুমি,,
আর আমি আনমনে খেলেই যাচ্ছি
যাচ্ছি খেলে লতাপাতা মাটি শুন্য নিয়ে।
অথচ আমি জানলামই না
তুমি ক্ষুধার্ত,,,
আমার গায়ের মাংস তোমার মাংসের খুবই প্রয়োজন।


কেন বলো তো?
স্বপ্ন কভু একসাথে দেখি নি বলে?


৪)


,খুব মিষ্টি কথা গুলো,,
ওই যে, যেগুলো লিখে পাঠিয়েছে চিঠির নামে,,
আচ্ছা যখন দেখা হয় পথের কোনে,,
কিবা শহরের বড় রাস্তার উপরে
তখন কেন বলো না তা?
কেন বলো না যখন বৃষ্টি হয় ছাতার বাইরে,,
লজ্জা পাও বুঝি?


মাগো কি লজ্জা তোমার,,,
আধারে বসে ছবি আঁকতে পারো অথচ
আলোতে দেখতে পারো না।
শুনো কথা গুলো কাল দেয়ালে লিখে দিবে
স্কুলের ব্লাক বোর্ডে লিখে দিবে
লিখে দিবে ব্যানার করে মোড়ে মোড়ে,,
তবুও আমিও যদি কিছু লজ্জা পাই
এই নির্লজ্জ বুক লয়ে।


৫)


তুমি আসো এভাবে,,
আমার গায়ের পোশাক হয়ে জড়িয়ে আমাকে
আমি বাতাসের সাথে বুঝে নেই তোমায়!
তোমার প্রতি রক্ত কনিকায়
মিশে গেছে আমার শিরা উপশিরার পথ,,
সে পথে হেটে হেটেই আস এখানে,,


ভুলো না কভু,,,
তোমার জন্যে এখানে প্রদীপ জ্বলে
নিরলে নির্জনে একটি গৃহকোনে।
তোমার জন্যে একটি আলমারি সদাই উন্মুক্ত
আমার সাথে,,,।
সেথায় বন্দি করাই আমার জগতে তোমার মুক্তি
তোমার তরে অজস্র স্তুতি।


৬)


এই, এটা কি তোমার?
উড়ে এসেছে আমার বারান্দায়?
লিখা আছে তোমার নাম,,,
আকারেও দেখে মনে হচ্ছে
সব তোমারই,,,
কিন্তু সেথায় গত রাতের
তোমার গায়ের গন্ধটা তো নেই,,।


এই পোশকটি কি তুমি স্নান করিতেও পরো?
নাকি সন্ধ্যার গোধুলি খেলাতেও গায়ে রাখ?


৭)


এই যাও ঘুমিয়ে পড়ো,,,,
শরীর খারাপ করবে,,রাতের হাওয়া খেলে।
ঝির ঝির যে বাতাস বইছে এই যমুনার তীর ধরে
আমি তাতে শীতল হয়ে আসছি
তুমি উষ্ণ আলিঙ্গনে নিয়ে নিও তা।
আমি তারার সাথে মনের গোপন কথা বলে আসি
তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে নিও তা,,
তবু সোনা ঘুমাতে যাও,,
সিঁদুর এর চিহ্ন দিয়ে এসেছি বালিশে
ঘুমে ঘুমে তা একটু আবার বুঝে নাও
নতুন করে বুঝে নাও।