১)


ঘুমের নগরে স্বাগতম,,
অফুরন্ত ঘুম ঘুমাচ্ছে  বট বৃক্ষ বিশাল মাঠের বুকে,,,
পাশে  কোথাও শ্বাস কষ্টের তর্জন গর্জন,,,
তবু পাতায় পাতায় অচেতন ঘুমে লক্ষ্মীন্দর,,
ঘুমে ব্যস্ত দূর্বা ঘাস হতে বড় ইমারত,,,
ব্যস্ত ভাতের হাড়ি থেকে বস্তির গলিপথ
ব্যস্ত আমার ভেতরে আমি,,,
ব্যস্ত চোখের ভেতরে চোখ,,
প্রাণের ভেতর প্রাণ,,,


ঘুমে ক্লান্ত রঙের ভাষা,শিল্পীর কন্ঠ হতে
কলমের কালি
পত্রিকার পাতায় ঘুমের নানান বাহার
কালো ঘুম,লাল ঘুম,নীল ঘুম,,,সাদা ঘুম


ঘুমে ঘুমে ব্যস্ত মন্দিরের দেবতা,,,
মসজিদে মসজিদে টুপি টুপিতে হরেক ঘুম
ঘুম বউয়ের ঘোমটা হতে,,
র‍্যাম্পের মডেলের প্রতিটি পোশাক।
ঘুম নগরে, শহরে,গ্রামে গঞ্জে
ঘুম পকেট হতে ব্যাংকে,,,
ঘুম স্থান হতে স্থানে
মন হতে মনে
ঘুম প্রতিটা চুম্বনে।


২)
বুঝে নিলাম,,,তার নাম ঘাস ফুল?
ও ভুল বলেছি?
তাহলে ময়ুর পাখা?
সবই বলছি আঁকাবাঁকা?
তাহলে তার নাম নদী,,,
জলের নাম নিতে নিতে মিশে যাচ্ছে সাগরে নিরবধি!
নাকি তার নাম পাহাড়,,
আভিজাত্যের গরিমায় ধরে ফেলেছে মেঘ বার বার!
ও তাও না,,,,!!!
তাহলে তার নাম কবিতা
যার সাথেই তোমার বাস আর বিশ্বাসের নামতা!


৩)


জিত তে হবেই দাদা
মরণ যে গ্রাস করেছে সব,,,
নাকের বাতাস হতে
ফুসফুসের বাতাসেও যে আজ মরণ চিহ্ন


তাই জিততে হবেও আমাকে
আজ সেখানে
প্রাণ দিতে হবে সকল বাতাসকে


৪)


লম্পট বলতেই পারো,
প্রাণকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,,
সেও বলছে সে লম্পট,,
আজ আমি তো কাল সে তুমি।
লম্পট এভাবেই হচ্ছি আমি?


৫)


কি জানি বলে গেল সে
সম্মুখে এসে,,,
কি জানি রেখে গেল সে
কাছে এসে,,,,


হাত ভরে নিয়েছি,
কান ভরে শুনেছি,,,
কিন্তু কোথা তাহা,কোথা সে সব আমার।
আমাতেই যা রেখেছিলাম
যতনে বারবার?


আমি কি হারিয়েছি সব আমারই মাঝে?
নাকি আমি এমন
করেছি বিলীন সব
গ্রাসিয়া আত্মস্রোতে!!!!