১)


মাথার চুল তার পেকেছে
এক্কেবারে পাকা সাদা,,
ধবধবে বকের মত,,
কিন্তু মন,,,ওই যে আটকা পড়ে আছে,,
গহীন গাঙের চড়ে,,,
সেথায় নিত্য ফুল ফোটে,,,
নিত্য এক পুজারিনী,,
ফুল দিয়ে ফুল পূজিতে আসে,,,
সেথায় এক কবুতর আজো খেলে এক আদিম খেলা,,আদিম নিয়মে।
লুকোচুরি খেলতে শামুক খোলে ফেলে খোলস,,,
সাপ নেমে যায় জরৎকারুর ঘরে
এক অশ্লীল দুরন্তপনায়,,,
আর সে পাতা হীন খাতায়
কলম হীন কালিতে,,
লিখেই যায় কবিতা।


২)


ধ্যাৎ
এত কি চাওয়া চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে?
যা আছে তা সব পেলেতো,,,,
এবার থামো,,,
রেহাই দাও নজরকে,,,,
এত বেদনা,এত কামনা কোথাও নেই,,,
যা আছে দৃষ্টির অতলে।


৩)


প্রেম খুব জমেছে,,
এক্কেবারে মাঝরাতে যাত্রাপালার নাচের মত,,
কি গো প্রেমকে কভু ছুঁয়ে দেখেছ?
সে কি কাঁদতে জানে?
হাসতেও কী জানে?
তাহলে আমার মনে এত দু:খ কেন?
কেনই বা এত দু:খতে এত সুখ।


না না বন্ধ কর এসব যাত্রা
কমলার বনবাসে আর দেখব না
নাচ গানের বুক।


৪)
আমার প্যারিসের ঘরে একটু ময়লা হয়েছে,,
তোমার কলকাতার ঘরে
একটু ঝাড়ু দিয়ে দিও তো বন্ধু,,
কতদিন হল আইফেল টাওয়ারের নিচের ফুল গাছটা একটু পানি চায়,,
গঙ্গা কে বলিও আরেকটু স্রোত দরকার।
রাত ভর জেগে লিখছি গান আমি
স্বপ্ন সাজিয়ে,,,
শুনেছি আজ রাতেই তুমি আসবে এ স্বপ্ন দেখতে।


৫)
এ আমার তোলা ছবি,,
পাতাল থেকে ঠেনে বের করা সুন্দরী
স্বর্ণলতার চোখে।
কোথায় যেন কাঠ পুড়ে আগুনে হচ্ছিল প্রেম
আমি সেথা হতেও নিলাম তুলে রঙ,,
দেয়ালিকায় এঁকে দিলাম মূর্ত মানব,,
ও মা একি এ যে কৃষ্ণ অবয়ব।


৬)


কোথায় যে রেখে দিয়েছি আমার বাল্যকাল
তালা মেরে কোন এক সিন্দুকে
কোন পথে ফেলে এসেছি  কৈশোর,,
কে জানি হাতে দিয়েই
নিয়ে নিয়েছে প্রসাদ ফিরায়ে,,,
কে জানি মঞ্চে তুলে দিয়েই
আসর দিয়েছি সমাপ্ত করে,,,
কেন?
কেন এমন বাকা রেখা
আমার সরল কপালে?


৭)
কল তো দিচ্ছি,,,
পাথরকে ছুঁয়ে দেখ,,,
সে বলে দিবে আমার ভাষা।
পাশে যে বিছানায় শুয়ে আছে বালিশ
তাকে জড়িয়ে ধরো,,,জেনে যাবে আমার কথা।
স্নানের টাবে বসে যে পানিতে লুকোচুরি খেলাও দেহকে,,,
তাকে জিজ্ঞেস করিও
সব জেনে যাবে,,
অন্তরে যা রেখেছি লুকায়ে,,
তোমাকে ভেবে ভেবে,,,।
জেনে যাবে কেন তুমিই নিত্য
প্রধান অতিথি,,,
আমার স্বপ্ন ঘরে।