১)


আমি যদি তৃণ ঘাসের যোগ্য হই
আমাকে তাই দিও প্রতিবেলা,,,
আমার গলায় যদি সুর থাকে পল্লীর
আমাকে নিয়ে যেও না শহুরের কলকারখানায়।
আমি যদি মাটি দিয়ে মূর্তি গড়তে জানি
আমার হাতে দিও না তোলে লোহা,,,


আমি নদী হয়ে পানি চাই,,
মাটি হয়ে সবুজ চাই
মেঘ হয়ে আকাশে ভাসা চাই
আর চাই এক অনুভুতি
আমি যাহা তাহাই আমার সম্পত্তি।


২)
একবেলা তুমি চলে এসো বুড়িগঙ্গার পাড়ে
আমি তোমাকে সবুজ শ্যামল বাংলার শহর দেখাব।
সেখানে অনেক অলিগলি,অনেক ফুটপাথ,,
আমি তোমাকে সেথায় হাটাবো হাতে ধরে
খাওয়াব লাল জ্বালের ফুচকা,,,
বেল পুরীর তেতুল স্বাদ তোমাকে দেখাব
আমার কবিতার প্রতি চয়নে
আমি যে বাঙ্গালি
তাই কবিতা লিখি
গায়ে বুড়িগঙ্গারর কাদা নিয়ে।
আসবে কি তুমি
পড়তে আমার কবিতা আর কবি
বুড়িগঙ্গার তীরে?


৩)


যে গাছ তোমাকে রক্ত পান শিখায়,,
শিখায় অন্যের মস্তক মুণ্ডনের।
সে গাছ নয়, নয় সে ছায়া
তোমরা কেউ সেথায় যেয়ো না,,,


যেয়ো না তোমরা কেউ সেই আসরে
যেথায় ধর্মের নামে হয় প্রতিহিংস্বা
কিবা পরচর্চার বিস্তার,,
যেথায় অপরে নিন্দা আর ঘৃণা হয় প্রচার।


তোমারা শুনিও না কভু সে ব্যক্তির বাণী
যে নিজের গায়ের চামড়াকে বলে সর্বোৎকৃষ্ট,,,
প্রমান খোঁজে হেথা তথা যথা
অন্যকে বলিতে নিকৃষ্ট।


যে আলয় তোমাকে আবদ্ধ করে দেয়ালে
সে আলয়ে থেকো না শিকল পরে।
যে জ্ঞান তোমাকে দেয় না সূযোগ জিজ্ঞাসার
সে নষ্ট, ভ্রষ্ট এক অসার।
যে কভু খোলে না চোখ,,,,অপরের চোখে
সে আজ না হোক কাল দংশিবে তোকে।


যে মর্ম না জেনে ধর্মেতে দেয় ডুব
সে অধম, চরম এক নির্বোধ।
যে কভু পড়ে না সাহিত্য সংস্কৃতি
সে মরা প্রাণে।মরছে আবার
লয়ে কুকীর্তি।


৪)


বুকের ভেতর যে কোনে জমে আছে বরফের মত হৃতপিন্ড
ঠিক সেখানেই তোমার নামেই জ্বলছে প্রদীপ,,
নিত্য উলুধ্বনি দেই সেথায়,,,
ঠাকুরের নাম করে ছোট্ট ঘটি বাটিতে জলের উপর দেই
দূর দেশ হতে তোলে আনা তুলসী পাতা,,,
কেন? কেন দেই,,,


তুমি তো কবে বাতাসের বেগের সাথে উড়ে গেছ
গেছ শাখা ছেড়ে আনন্দ বিহারে,,,
বলে গিয়েছে বসন্ত এবার নেই,,,
তাই বিদায়ের সুর সর্বত্র,,,,,
সর্বত্র সর্বত্র আর সর্বত্র


৫)


মা আজ দিগম্বর দেহে সামনে এসে দাড়াও খরগ হাতে
অসুর নাশিতে চলে আসো রণাঙ্গিনী রূপে
দেখবে কত মমতায় বোরখা দিয়ে পুজো করছে তোমায়,,
তোমার মাথা,  চুল জোরে বেধে দিচ্ছে হিজাবের
চিহ্নিত নত মস্তকে,,
আসো না মা এবার কালীঘাটে,,
দেখি তোমাকে দেখে কত মন্ত্রী দেয় না শিষ?
কত নেতা লেলিয়া দেয় না পশু?
কত পশু দেয় না এসিড ছুড়ে?


আসবেত?? আসবেত আবার এখানে?
নাকি বাসে ধাক্কাধাক্কির ভয়েই তুমি যাবে চলে,,,
ফতোয়া শুনার আগেই পরে নিবে আফগানি বোরখা,,,
তোমার সম্মুখে তোমার হাত থেকে কেড়ে নিবে অস্ত্র
ধরিয়ে দিবে শাখা কিবা চুড়ি
আর বলবে তুমি এ রাজ্যের তেতুল,,,,
তোমার কাজ,,, শিশুর কান্না শুনা আর থামানো
তোমাকে যদি তিন তালাক বলে ফেলে শিব
তখন তুমি সত্যিই তালাকপ্রাপ্তা,,,,
তোমার পক্ষে রাজনীতির ভোট নেই,,
ক্ষমতার গদি নেই,,,,,
নেই নারী দেহ নারীর প্রতি।


এবার ভেবে দেখ মা,,,,,
বাংলায় সত্যি কি আসবে দিগম্বরী হয়ে,,,,,
নাকি ভোটের হিসেবে মাথায় হিজাব
আর শরীরে বোরখা পরে?