কয়েকটি কবিতা
১)
আচ্ছা, তুমি বলো শুনি,,,,,,
কেমন আছে তোমার উপন্যাস, শরৎ বাবুর?
টেবিলের উপরের সাদা খাতা
কিংবা তোমার কলমের কালি?
তুমি কি শুধু পড়েই যাবে?
নাকি খাতাটার উপর কলম দিয়ে কিছু লিখবে?
লিখবে কী?
কবে লিখবে?জানিও কিন্তু।
আমার বাগানের হাস্নাহেনা ফুল গুলো
রাতে আমাকে ঘুমাতেই দেয় না,,,
ঘুমাতেই দেয়ই না ঘ্রাণে ঘ্রাণে,।
জেগে জেগে অপেক্ষায় থাকি,,,,
কবে তুমি লিখবে তোমার কলমে,,
আর আমি পড়ব,,, সত্যি তা পড়বো
হাস্নাহেনাকে কথা যে দিয়েছি এমনে।
২)
তুমি সতী নও
নও কোন পূজার ঘটির জল।
তুমি সাবিত্রী নও
নও কুমন্ডলের তরল।
তুমি হতে পারো তিল কিবা দূর্বা ঘাস
কিংবা পোকা ছোঁয়া বিল্ব পত্র।
তোমার মনে থাকতে পারে
দুর্গা প্রতিমার বারাঙ্গনার মাটি,,
কিন্তু আমি যে তাই চাই
কোন ঈশ্বরী নয়,,তবে মানবী।
মাতঙ্গিনী বিনোদিনী।
৩)
কিছু বলো,,
কি দেখাও এগুলো হাতে?
ঈশারা বুঝি না গো,,সেই ছোটকাল হতেই।
বুঝি নি রাতে কেন ঘুম হতো না একেলা!!
ভোর বেলা কেন যেত গলা শুকিয়ে,,,!!
এত উষ্ণ আয়োজন ভেতরে
কেন হত শীতকালে!
বুঝি না আজো যেমনি
কেন বৃষ্টিতে ভিজে হংসীদল?
কেন ফুল গুলো ফোটে ঠিক আমার মত অবিকল?
তাই ঈশারা না করে বারবার
মাইকিং করো লক্ষ্মীটি এবার।
৪)
আহা
এমন করে লিখো না কিছু।
আমার ঘরের চালা কিন্তু শিশিরে ভিজে যায়,,
ঘরের শুকনো কাপড়গো হয়ে যায় সিক্ত?
তোমার কবিতা পড়ি আর ভাবি
বাপরে কেমনে জল মিশিয়ে দাও হাওয়াতে!!!
এত তরল তোমার লেখা
এত সরল তোমার আবেদন।
তবু কোথা যেন গরল রেখে দাও যতনে।
আমি তা পান করি...
সুধা ভেবে গিলে ফেলি অনল!
আর ভিজে যায় এমনি আমার
সাহারা সকল।
৫)
ভুলে যাব কাকে?
যে আমার চোখের সামনে বাতি হয়ে জ্বলছে, তাকে?
যে আমাকে পথে পথে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তাকে?
আমি কাকে ভুলবো?
যে আমার চিঠির উপর ঠিকানা লিখে দিচ্ছে,,
শার্টের উপর কেটে দিচ্ছে বোতামের পথ।
আমি কি তাকে ভুলে যাব?
নাকি বার বার সুই সুতা নিয়ে হাতে,,
দাড়াব এসে তার দুয়ারে,,
আর বলব হেসে,,
আচ্ছা দেতো ,সুইটার ভেতর সূতার মত
স্বপ্ন টা লাগিয়ে।
৬)
পাঠাবো,,আমার বন্দর হতে কয়েকটি জাহাজ
যেগুলো ফুল দিয়ে পরিপূর্ণ,,,।
পুস্তকের লাইব্রেরীতে হয়েছে উত্তীর্ণ,,
কিছু সূর্য আছে বস্তা বন্দি
আছে কিছু কাশের বন লুকিয়ে,,,।
তুমি শুধু ছুঁয়ে দিও পা কিবা হাতে
জাহাজ জন্ম যে সার্থক হবে
ওদের এই দুনিয়াতে।
৭)
সব ছবি দেখেছি,,তোমার প্রেমে।
তবে কী জানি একটা ছবি নেই এখানে।
হয়তো সে ছবিটা কোন এক মেঘ ছোঁয়া নদীর
যে কিলবিলিয়ে চলে গেছে সাগরে।
হয়ত ছবিটা কোন এক গ্রামের
যা সবুজের অভরায়ণ্য।
অথচ এইতো সেদিন
গ্রামটি ছিল শ্মশান ঘাটের
পৈতৃক সম্পত্তি...!
যেখানে শুধু লাশ ছিল কেবলি লাশ!
আজ সেথায়ই বসত বেধেছে স্বপ্ন
বসত বেধেছে আশ,,,,।
কিন্তু এসব ছবিগুলো নয় তার প্রকাশ,,,
তবু ভালবাসাবাসি আর বিশ্বাস।
########################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০২/১০/১৭