১)


কি বুঝাবো তোমাকে?
আমার মুখের ভাষা আর বুকের আশা যে এক নয়
তোমার সম্মুখে,,,।
যেমন করে তোমার দৃষ্টি আর নজর এক নয়
দেবতার প্রতিমার পানে।


আমি তো প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখি
ভোর বেলায় সেগুলোই আমি খুজি,,
খুজি হন্য হয়ে,,,।
আমি তো ঢোলের উপর কাটি হয়ে শুয়ে পড়ি
তারপর নিজেই বলি,,,
আওয়াজ হচ্ছে কোথা থেকে?


এবার বলো কী বুঝাবো তোমায়
এমন বুঝা বুঝে?


২)


রাত মধ্য পথে,,,
গাড়িটা চালাচ্ছে বেশ,,,,
নিজে কোন দিন এভাবে গাড়ি চালাবে এমন শহরে
তা কি সে ভেবেছিলো?
ভাবে নি,,, কখনো ভাবে নি,,,
ভোরের দেখা পেতে হলেও ড্রাইবিং তার জানা দরকার।


কোনদিন ডান বাম সোজা বাকা কিছুই তার জানা ছিলো না,,
এমনকি প্রতি মুহুর্তে কতটা পাখি হারিয়েছে চোখ,,
কোন গর্তে কখন কীভাবে পড়ে গিয়েছিল পথিক,,,
কিছুই তার মনে রাখার কথা ছিল না,,,?
শিয়ালের কতটা হাক দিয়েছিলো দরজার সম্মুখে
সর্প কীভাবে নেচেছিল মাথা তুলে,,
তার বর্ণনা করার মত কথাও ছিলো না,,,,,।


কিন্তু রাতটি যে আজ অন্য গ্রহে
আইফেল টাওয়ারের ছায়ায় ছায়ায় বেচে থাকতে চায়,,,
তাই তার আজ জানাতেই হবে সে সব এই গ্রহে
ভোরের দেখা যদি পেতে চাও হেথায়,,
তাহলে বল কেমন রাত তুমি ছিলে সেথায়?


৩)
ঘুমিয়ে পড়
সেই কবে থেকে
পাথরের সম্রাজ্যে ফুল বিক্রি করেছিস
ইটের বিনিময়ে...
রক্ত মাখা নাভিতে কষ্ট হয়েছে অনেক


কিন্তু।এ কষ্ট টা যে ওদের সুখ
এই কষ্ট টা যে ওদের বিলাস
ওদের মহিমা মকুট।
ওরা যত পাষাণী ততই সম্রাট
যত নিষ্টুর ততই সুউচ্চ সংসারে।
তাই এবার একটু শুয়ে পড়
আগামী পাথর সভ্যতা দেখিতে।
তবু এমন ফুল বেচা বন্ধ হবে না
ঈশ্বরের ঈশারাতে।


৪)


আমি কোথায় থাকিরে?কোথায়?
এই পৃথিবীতে?
না না,,,,
এই ধরাতে আমি নেই রে,,,,
আমি সদা শূন্যে ঈশ্বরের সাথে বাস করি
আমি যম পুরীতে যম রাজের সাথে আড্ডা মারি,,
তাকে প্রেমের কবিতা শুনাই।
কান্না শিখাই,,
হাসি চেনাই।


এই তো স্বর্গের ইন্দ্রকে
বিবেকানন্দের চরিত্রগঠন বইটি উপহার দিয়েছি।
মেনকা,উর্বশী দের নৃত্যকলা শিখিয়েছি
বলেছি বেবি ডল গানটার সাথে নাচতে।
ওরাও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,,,
বেশ মিষ্টি সুরেই জিজ্ঞেস করেছিল,,,,
কোথায় থাকি আমি?


কিন্তু আমি যে জানি না।
আমি যে এর উত্তর জানি না
জানি না।
হ্যা হ্যা সত্যিই জানি না
কোথায় থাকি আমি?


৫)


ঘুম টাকে কে যেন দিল গুম করে,,
তাই অনলাইনের পাতায় খুজছি তাকে,,,।
দেখি কেউ কি লিখেছে তাকে কোন কবিতায়
নাকি রেখেছে কোন স্পষ্ট ছবির অস্পষ্ট ভাষায়।


আমি খুজছি তাকে গুগুলে
কিবা ইউটিউবে,,,।
না কোন খানেই সে নেই,,,
সত্যি বলছি,,,
ঘুমটাকে সত্যি কে যেন
আমা থেকে গুম করে রেখেছে সরায়ে!
কে সে?
কে?
সে কি আমি?


৬)
তুমি যা কল্পনা করছ শুন্যে,,,
যে শক্তির অনুভব করছ অনুভুতিতে।
বর্ণনায় বর্ণনায় একেই চলেছ যার কার্টুন
দিচ্ছ প্রাণ অহরহ বচনে বচনে,,,,
আমি তাকে প্রকাশ করছি হাতে,,।
মাটি কিবা কালির তুলিতে দিয়েছি তার গড়ন,,
এবার তুমি ই বলো
কোনটা জীবন আর কোনটা মরন?


বিশ্বাসের অনুভুতির চিত্রটাই যে
আসল ধরন,,,।


৭)
আমার বিরহ বেলায় আরও দূরে থেকো ঈশ্বর,,,
কাছে এসে কী আর করবে?
নিতে পারবে কী কোলে তুলে
এই মানব শিশু,,,?
মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়া এ দেহে অসংখ্য ময়লা,,!
পবিত্র দেহ তোমার নোংরা হবে,,,
আমার গায়ের দূর্গন্ধ লেগে যাবে তোমার গায়ে।
ময়লা আবর্জনায় ঢাকা এই শরীর
অপবিত্র করে দিবে তোমায়!!!


হও না তুমি ঈশ্বর কিবা অন্যকিছু
তবু আমার নোংরা দেহে অবহেলা করবে না তোমাকে,!
তাই তো আমি
বিরহে শোকে সুখী হই কেঁদে কেঁদে
আর তুমি ভাগ্যলিখন নামে
যোজন যোজন দূরে।
###################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৮/১০/১৭