১)
কবিতা, তোমাকে ছাড়া আমার খাদ্যাভ্যাসে
কে যেন লবণ দিচ্ছে সদা
হাওয়াটা দখল করে নিয়েছে তামাক ধোয়া,,
পথে পথে কে যেন বিছিয়ে দিচ্ছে ভাঙ্গা কাচ
কোথায় যেন গর্ভ বেদনায় রাক্ষুসী।


তাই আবার আসতেই হল খাতার ভুবনে
কালির আয়তনে নিতে হল নিজের সীমানা,,
ভাবতেই হল কবিতা ছাড়া আমার ঈশ্বরও অসহায়,,
প্রিয়ার মুখে সদা শূর্পণখাই দেখা যায়।


২)
জানি না কী হবে কাল,,,
জুতার ভেতর হতেই বের হয়ে যেতে পারে নাগিন,,
চূড়ার ভেতর হতেই বের হতে পারে হিংস্র সিংহ
বুকের পশম হতে গজিয়ে যেতে পারে জোক
চামড়া থেকে আবির্ভুত হতে পারে অজস্র চাপাতিওয়ালা,,


তাহলে কে বাঁচাবে আমাকে?
কে দেখাবে,কে চেনাবে আমাকে?
কী নিয়ে আছি তোমাদের পাশে?


আমি কী আমি সদাই হতে পারি এক
ভেতরে আর বাহিরে?


৩)
এভাবে না করো না,,
ভেবো না আমার বাড়িতে লাল নিশান নেই
নেই দেয়াল দেবার মত ইট।


আমার বাড়িতেও পুড়ে যাওয়া মাটি আছে
কবর খননের কোদাল আছে,,
আছে মস্ত একখান তালা দুয়ারে ঝুলে,,


তবে তোমার বাড়ির ফুলের দোকান
আমার বাড়ির প্রজাপতির নেই কাছে।


৪)


গত রাত হঠাত করেই এক চিল
এসে নিয়ে গেল আমার ঘুম।
যার ঠোটে ফুলের মালা ছিলো,,
চোখে বাসর নেশা ছিলো
ছিলো ডানা ভরা এক মদের আসর,,


আমি পাখিটাকে ছুয়ে দেখেছি,,
সারা রাত নানান সুরে কথা বলেছি,,
পাশে বসে জেনে না জেনে নানান পাপের
আশা দেখেছি,,,
কিন্তু পাখিটা যা চলে গেল নয়ন খুলিতেই,,।
তুমি কি তাকে চেন সখী
দেখেছ কভু তোমার স্বপনেই?


৫)


কে বলছে তুমি লিখতে পারো না,,,,
তোমার হাতের রেখায় রেখায় দেখ
সব লিখা প্রকাশ হয়ে আছে,,,
লিখে নাও সেথা থেকে কিছু,,,


তোমার পায়ের ধুলিতে দেখ
লেখার নানান ভাষা আছে,,
নিয়ে নাও তা তোমার লেখা করেই।
যে ঘরে তুমি শ্বাস নিচ্ছ দিবা রাতি
তাতে দেখ হাজার আরব্য রজনী পরে আছে
লিখো না তা নিয়ে,,,
লিখো চোখ বন্ধ করে,,
মন উন্মুক্ত করে,,,
লিখো,,লিখো,, লিখো
প্রাণ খোলে,,,,